ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে সবাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের প্রকৃত পরিচয় শনাক্ত করে।
রোববার (২৫ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান জানান, সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার নয়াবাজার সীমান্ত থেকে ৩২ জন, লাতু সীমান্ত থেকে ৭৯ জন এবং মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার পাল্লাথল সীমান্ত থেকে ৪২ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন পুরুষ এবং বাকি সবাই নারী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিজিবি তাদের যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিয়ানীবাজার এবং বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করেছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই সীমান্তবর্তী এলাকায় পুশ-ইনের ঘটনা বাড়ছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষ করে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যসংলগ্ন সীমান্তগুলোতে নজরদারি জোরদার হওয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বিএসএফ পুশ-ইন করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিজিবি বলছে, সীমান্ত সুরক্ষায় তারা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। তবে পুনঃপাঠানো ব্যক্তিদের মাঝে শিশু ও নারীর সংখ্যা বাড়ছে, যা মানবিক দিক থেকেও গভীর উদ্বেগজনক।