Logo Logo

অবরোধ পেরিয়ে শিক্ষার পথে গাজার শিশুরা

ইসরায়েলি হামলার ধ্বংসস্তূপে গড়ে উঠছে নতুন প্রজন্মের আশা


Splash Image

গাজায় শিক্ষার নতুন ভোর: যুদ্ধ থামাতে পারেনি শিশুদের স্বপ্ন। ছবি:- সংগৃহীত

গাজার তিন লাখ শিশু দুই বছর পর আবারও স্কুলে ফিরেছে। ইসরায়েলি অবরোধ ও ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও জাতিসংঘের সহায়তায় শিক্ষার আলো ফিরছে ফিলিস্তিনে।


বিজ্ঞাপন


দীর্ঘ দুই বছরের যুদ্ধ ও অবরোধের পর আবারও স্কুলের পথে ফিরছে গাজার শিশুরা। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, শনিবার থেকে গাজার প্রায় তিন লাখ শিক্ষার্থী আবারও ক্লাসে যাওয়া শুরু করেছে। তবে ইসরায়েলের অবরোধের কারণে এখনো অঞ্চলে পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না।

২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজাবাসীদের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। স্কুল, হাসপাতাল ও ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। টানা দুই বছর শিক্ষাব্যবস্থা স্থবির থাকার পর, অবশেষে ইউএনআরডব্লিউএ এই অঞ্চলে শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালুর পরিকল্পনা করেছে।

সংস্থাটির মিডিয়া উপদেষ্টা আদনান আবু হাসনা জানান, তিন লাখ শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় দশ হাজার শিক্ষার্থী সরাসরি ক্লাসে অংশ নেবে এবং বাকিরা দূরশিক্ষণের মাধ্যমে পড়াশোনা করবে। এ প্রোগ্রামে আট হাজার শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন।

আবু হাসনা বলেন, “দুই বছরের স্কুল ছুটির পর শিক্ষার্থীদের আর দেরি করা যাবে না। যুদ্ধের আগেও করোনা মহামারির কারণে শিক্ষায় বড় ধাক্কা লেগেছিল।”

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শিক্ষা অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল ১৭২টি সরকারি স্কুল ধ্বংস করেছে, ১১৮টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, এবং ১০০টিরও বেশি ইউএনআরডব্লিউএ স্কুলে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া ১৭,৭১১ শিক্ষার্থী নিহত এবং ২৫,৮৯৭ জন আহত হয়েছে। একই সঙ্গে ৭৬৩ জন শিক্ষা কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।

ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, গাজার ২২টি ক্লিনিক পুনরায় চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং খাদ্য বিতরণের জন্য একাধিক পয়েন্টে কর্মী নিয়োজিত আছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ—ওষুধ, পোশাক, আশ্রয় সামগ্রী ও খাদ্য—ইসরায়েলি সীমান্তে আটকে রয়েছে।

আবু হাসনা সতর্ক করে বলেন, “গাজার ৯৫ শতাংশ মানুষ এখন মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। শত শত হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ এখনও খোলা আকাশের নিচে জীবনযাপন করছে।”

এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৬৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা এখন ধ্বংসস্তূপের নগরে পরিণত হলেও, শিক্ষার আলো ফেরাতে চেষ্টা চলছে সর্বশক্তি দিয়ে।

সূত্র : বার্তাসংস্থা আনাদুলু

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...