ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
এই উদ্যোগের লক্ষ্য—বাসে ডাকাতি, ছিনতাই এবং নারী যাত্রীদের হয়রানি প্রতিরোধ করা।
রবিবার (২৫ মে) রাজধানীতে সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম। এতে বিভিন্ন কোম্পানি ও জেলা পর্যায়ের পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সাইফুল আলম বলেন, “দূরপাল্লার রুটে যাত্রীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে। গত কিছুদিন ধরে বাসে ডাকাতি, ছিনতাই ও নারীদের লাঞ্ছনার ঘটনা বেড়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।”
কী থাকছে নতুন নির্দেশনায়?
প্রতিটি দূরপাল্লার বাসে অন্তত একটি কার্যকর সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে।
সিসি ক্যামেরা ছাড়াও স্পিড গভর্নর বা গতি নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বাধ্যতামূলক।
নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্ট বাস মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাস ছাড়ার সময় যাত্রীদের সম্মতিতে একটি ছবি তুলে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হবে। এতে সন্দেহভাজন যাত্রীদের শনাক্ত করা সহজ হবে।
এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কড়া অবস্থান। তারা ৮ এপ্রিল মালিক সমিতিকে একটি চিঠিতে ডাকাতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলেছিল। এছাড়া ২০ মে আরেক নির্দেশনায় চালক ও সুপারভাইজারদের ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি বলছে, সম্প্রতি দূরপাল্লা রুটে দুর্ঘটনার হার বেড়েছে। অতিরিক্ত গতি ও প্রতিযোগিতামূলক ড্রাইভিং এ জন্য দায়ী। তাই ঈদের ভিড় সামাল দিতে এবার বিশেষ নজরদারিতে রয়েছে পরিবহন খাত।
ঈদের আগে প্রতিবারই ঘরমুখো মানুষের যাত্রা হয়ে ওঠে উদ্বেগজনক। এবার সিসি ক্যামেরা সংযোজন সেই উদ্বেগ কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যাত্রীদের জন্য এটি নিরাপত্তার একটি নতুন স্তর, যেখানে যেকোনো অপরাধ ঘটলে প্রমাণসহ ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে।