বিজ্ঞাপন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ শুক্রবার জানান, জেরাল্ড আর ফোর্ড রণতরীকে অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ রণতরী পারমাণবিক সাবমেরিন ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বহন করতে পারবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের আওতায় থাকবে। এই কমান্ডের অধীনে রয়েছে মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল।
মাদুরো রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন চিরস্থায়ী যুদ্ধের বাহানা তৈরি করছে। তারা আগে অঙ্গীকার করেছিল কখনো যুদ্ধে জড়াবে না, এখন বানোয়াট যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করছে।”
রণতরীর মোতায়েনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবিয়ানে সামরিক উপস্থিতি শক্তিশালী করছে। হেগসেথ জানান, ক্যারিবিয়ান সাগরে শুক্রবার এক হামলায় ছয়জন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। হামলা করা হয়েছিল ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ নামের একটি জাহাজে। তিনি বলেন, এটি একটি অপরাধমূলক সংগঠনের জাহাজ ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তাদের অভিযান মূলত মাদক পাচার প্রতিরোধের উদ্দেশ্য নিয়েই পরিচালিত হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞ ও কংগ্রেসের কিছু সদস্য অভিযোগ করেছেন, এই অভিযান ভেনেজুয়েলার সরকারের অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হিসেবে চালানো হচ্ছে।
চ্যাথাম হাউজের ল্যাটিন আমেরিকা বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ড. ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বিবিসিকে বলেছেন, “এটি হলো সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা নয়। তবে এটি একটি সতর্ক সংকেত হিসেবে ভেনেজুয়েলার সামরিক বাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠদের মধ্যে হামলার ভয় দেখানোর জন্য করা হচ্ছে।”
পেন্টাগনের মুখপাত্র সিয়ান পারনেল জানিয়েছেন, রণতরীর মোতায়েন অতিরিক্ত ফোর্স মাদক পাচার প্রতিরোধে স্থলভাগে হামলার সক্ষমতাকে আরও জোরদার করবে।
সিএনএন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার ভেতরে মাদক পাচার রুট ও কোকেন তৈরির কেন্দ্রগুলোতে বিমান হামলার সম্ভাবনা বিবেচনা করছেন। ট্রাম্প বলেন, “আমরা এখন স্থলভাগের দিকে নজর দিচ্ছি, কারণ সাগর আমাদের নিয়ন্ত্রণে।”
রণতরীটি তিনদিন আগে ক্রোয়েশিয়ার উপকূলে দেখা গেছে। মোতায়েনের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি শক্তিশালী হয়েছে এবং একই সঙ্গে ভেনেজুয়েলার সাথে উত্তেজনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, মাদুরোর সরকার মাদক পাচারের আশ্রয় দিচ্ছে।
যুদ্ধজাহাজটি জেট ও বিমান পরিবহন করার পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বহন করতে সক্ষম। যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে নৌকা লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই অভিযানকে মাদক পাচার প্রতিরোধের চেষ্টা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...