ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে করিডর ইস্যু, কেএনএফ-এর ইউনিফর্ম উদ্ধার এবং সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। করিডর বিষয়ে সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এটা একটি স্পর্শকাতর বিষয়। দেশ আমাদের সবার। দেশের স্বার্থ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাই এটাকে বিতর্কিত করে দেখার সুযোগ নেই।"
তিনি আরও স্পষ্ট করেন, সরকার ও সেনাবাহিনী একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। "কেউ যেন মনে না করে আমরা আলাদা চিন্তা করছি। সরকার ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে, এবং আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই সমন্বয় আরও জোরদার হবে," — বলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল।
চট্টগ্রামের একটি কারখানায় কেএনএফ-এর পোশাক উদ্ধারের বিষয়ে তিনি জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। “৩০ হাজার ইউনিফর্ম পাওয়া মানে শুধু একটি সাধারণ ঘটনা নয়, এর পেছনে বড় ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। বম কমিউনিটির জনসংখ্যা মাত্র ১২ হাজার—তাহলে এত ইউনিফর্ম তৈরি হলো কেন, কার জন্য? আমরা অনুসন্ধান করছি।”
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উল-দৌলা বলেন, কেএনএফ-এর অস্ত্রের ব্যবহার পার্বত্য চট্টগ্রামে স্পষ্ট। এদের হামলায় বেশ কিছু সেনা সদস্য শহীদ ও আহত হয়েছেন। কাজেই এই বিষয়টি দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বর্ডার এখন অত্যন্ত সংবেদনশীল। আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের ৮৫-৯০ শতাংশ এলাকা দখলে নিয়েছে। ওই অঞ্চলে এখন কোনো কার্যকর সরকার নেই। এই পরিস্থিতিতে কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠীর মুভমেন্ট অস্বাভাবিক নয়, তবে সেটিকে আমরা কোনোভাবেই স্বীকৃতি দিচ্ছি না।”
তিনি বলেন, বর্ডারে বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী নজরদারি বাড়িয়েছে। সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ সচেতন এবং দেশকে রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। “আমরা বর্ডার কম্প্রোমাইজ করিনি, করবও না,” — তার জোরালো মন্তব্য।
এই সংবাদ সম্মেলনে উঠে এসেছে যে, সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং সরকারের সঙ্গে সুসমন্বয়ে কাজ করছে। দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় সেনাবাহিনীর প্রতিশ্রুতি ও সতর্ক অবস্থান যেন জাতিকে আশ্বস্ত করে।