বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৫ অক্টোবর) আইডিএফের প্রেস সার্ভিস জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত এলাকায় ইসলামিক জিহাদ সংগঠনের একজন সদস্যকে লক্ষ্য করে ‘সুনির্দিষ্ট ও সীমিত আকারের’ হামলা চালানো হয়। আইডিএফ দাবি করেছে, ওই ব্যক্তি ইসরায়েলি সেনাদের ওপর আসন্ন সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছিলেন।
সামরিক বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আইডিএফ ইউনিটগুলো যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাঠামো অনুযায়ী এলাকায় মোতায়েন ছিল এবং যে কোনো প্রত্যক্ষ হুমকি প্রতিহত করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। আইডিএফ জোর দিয়ে জানায়, "হুমকি থাকলে সেনাবাহিনী আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।"
উল্লেখ্য, গাজা সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউস একটি ২০ দফা ‘ব্যাপক শান্তি পরিকল্পনা’ ঘোষণা করে, যেখানে গাজায় আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী মোতায়েন এবং অস্থায়ী প্রশাসনিক কাঠামো গঠনের প্রস্তাব ছিল। এরপর ৯ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, মিশরে আলোচনার মাধ্যমে হামাস ও ইসরায়েল প্রথম ধাপে সমঝোতায় পৌঁছেছে এবং ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
তবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার অল্প সময় পরই নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ফের বাড়তে শুরু করে। ১৯ অক্টোবর রাফাহ সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনা সামনে আসে, যা যুদ্ধবিরতির প্রথম বড় লঙ্ঘন বলে দাবি করে আইডিএফ। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ ঘটনার জন্য সরাসরি হামাসকে দায়ী করেন এবং সেনাবাহিনীকে 'দ্রুত ও দৃশ্যমান প্রতিক্রিয়া' জানাতে নির্দেশ দেন।
ওই ঘটনার পর ইসরায়েলি বাহিনী গাজাজুড়ে বহু লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা হামলা চালায়, যেখানে আইডিএফ জানায় দুই সেনা নিহত এবং আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে হামাস রাফাহর ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে, জানিয়ে যে এটি ইসরায়েলের 'অজুহাত তৈরি' মাত্র।
পরে আইডিএফ ঘোষণা করে, সীমিত সামরিক অভিযান শেষ করে তারা পুনরায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে ফিরেছে। কিন্তু সর্বশেষ নুসেইরাত হামলার পর আবারও প্রশ্ন উঠেছে—চুক্তির বাস্তব প্রয়োগ আদৌ সফল হচ্ছে কি না এবং শান্তি প্রক্রিয়া টিকবে কতদিন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...