ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
আহত সায়েদ আলীকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, একই গ্রামের আব্দুল্লাহ, রব্বানী, ফুয়াদ, হাফিজুর, রুবা খাতুন ও আনোয়ারা বেওয়াসহ কয়েকজন ব্যক্তি সরকারি রাস্তা দখল করে সেখানে বালু ফেলে ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালান। স্থানীয় জনতা ও ছাত্রসমাজ এর প্রতিবাদ করলে নির্মাণকাজ সাময়িক বন্ধ থাকে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জমি পরিমাপ করে প্রমাণ হয়, সেখানে ২০ ফুট প্রশস্ত সরকারি রাস্তা রয়েছে, যা সাধারণ জনগণ নিয়মিত চলাচলের জন্য ব্যবহার করে আসছিল।
২৬ মে (সোমবার) সকাল ৭টার দিকে অভিযুক্তরা পুনরায় দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, রড ও হাসুয়া নিয়ে নির্মাণকাজ শুরু করে। বাধা দিতে গেলে সায়েদ আলী ও সুলতান মাহমুদকে মারধর করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় সুলতানের পকেটে থাকা ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহারের জন্য রাখা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। একপর্যায়ে ধারালো হাসুয়ার আঘাতে সায়েদ আলীর মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” স্থানীয়রা জানান, বারবার সতর্ক করার পরও একটি প্রভাবশালী পক্ষ সরকারি রাস্তা দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা জনদুর্ভোগ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে।
স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ না নিলে এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়তে পারে। সরকারি সম্পত্তি দখল ও সহিংসতা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি।
প্রতিবেদক-মাসুম বিল্লাহ, বগুড়া।