ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জামায়াতের কোনো নেতাকর্মীর আচরণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে, দলের পক্ষ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “আমরা মানুষ, কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নই। আমাদের কোনো আচরণ বা পারফরম্যান্সে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। দল হিসেবে আমরা এমন দাবি করি না যে আমরা ভুলের বাইরে।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে ডা. শফিকুল ইসলাম একদিকে দলের অতীত কর্মকাণ্ডে মানবিক অবস্থান তুলে ধরেন, অন্যদিকে জনগণের আবেগ-অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে নিজ দলের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের চেষ্টার ইঙ্গিত দেন।
এ সময় তিনি বলেন, “এই সংগঠনের প্রতিটি কর্মী, সহকর্মী কিংবা দলের দ্বারা যে ক্ষতিগ্রস্ত বা কষ্ট পেয়েছেন, তাদের সকলের কাছে আমরা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
এ টি এম আজহারুল ইসলামের রায় প্রসঙ্গে জামায়াত আমির আরও বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যে রায় দিয়েছে তা প্রমাণ করেছে সত্য কখনো চেপে রাখা যায় না। মেঘের আড়াল ভেদ করে সত্যের আলো একদিন না একদিন বের হবেই।”
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় জামায়াতের শীর্ষ ছয় নেতাকে “জুডিশিয়াল কিলিং”-এর শিকার করা হয়েছে। তাঁর দাবি, মিথ্যা মামলার মাধ্যমে নেতাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নানা রকম চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল।
ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের নেতৃবৃন্দ ঈমানের বলে বলিয়ান ছিলেন। বাতিলের কাছে মাথা নত করেননি।”
এই সংবাদ সম্মেলন দলীয় অবস্থান প্রকাশের পাশাপাশি দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জামায়াতের নতুন কৌশল এবং সমাজের সঙ্গে সংলাপের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...