ভোরের বাণী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২৭ মে) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি সরাসরি পুতিনকে আক্রমণ করে বলেন, "পুতিন আগুন নিয়ে খেলছেন।"
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, “যদি আমি না থাকতাম, রাশিয়ার জন্য সত্যিই ভয়ানক কিছু ঘটতো।” তবে কী ধরনের বিপর্যয়ের কথা তিনি বলছেন, তা তিনি স্পষ্ট করেননি। ট্রাম্পের এই মন্তব্য এমন সময়ে এলো, যখন ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি আলোচনা আবারও থেমে গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ান।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্য কেবল কূটনৈতিক উত্তেজনা নয়, বরং আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের আগাম বার্তা হিসেবেও দেখা যেতে পারে। কারণ ট্রাম্প বারবার দাবি করে আসছেন যে, বাইডেন প্রশাসনের ব্যর্থতাই ইউক্রেন যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও সিএনএন জানিয়েছে, রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছেন ট্রাম্প। গত রোববার তিনি ঘোষণা দেন, “প্রয়োজনে মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করা হবে।” হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, “এই যুদ্ধ বাইডেনের ভুল সিদ্ধান্তের ফল। ট্রাম্প আলোচনার মাধ্যমে শান্তি চুক্তি চান, কিন্তু রাশিয়াকে ছাড় দিয়ে নয়।”
শনিবার ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বড় ধরনের হামলার পর, রোববার (২৫ মে) ট্রাম্প আবারও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। বিবিসি জানায়, ট্রাম্প পুতিনকে “উন্মাদ” বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, “পুতিনের সঙ্গে সবসময় ভালো সম্পর্ক ছিল, কিন্তু তার কিছু একটা হয়েছে। সে পুরোপুরি পাগল হয়ে গিয়েছে!”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই বক্তব্য শুধু এক ব্যক্তিক আক্রমণ নয়, বরং রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রদর্শনের কৌশল হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।
ট্রাম্পের একাধিক মন্তব্যে ভবিষ্যৎ মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির আভাস স্পষ্ট। যদি তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তবে রাশিয়ার প্রতি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে তার আগ্রহ অনিবার্য বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।