ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে চলমান তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। গত কয়েকদিন ধরে এলাকার তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে, যা জনজীবনে চরম অস্বস্তি তৈরি করেছে। দুপুরের দিকে রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। এই প্রচণ্ড গরমে স্বস্তির খোঁজে পথচারীরা ভিড় করছেন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তালের শাঁস বিক্রেতাদের কাছে। গ্রীষ্মকালীন এই মৌসুমি ফলটির শাঁসে থাকা ঠাণ্ডা, জেলির মতো মসৃণ অংশ গরমে ক্লান্ত মানুষদের এনে দিচ্ছে এক মুহূর্তের প্রশান্তি।
নালিতাবাড়ী উপজেলা গেইটের সামনে তালের শাঁস কিনতে আসা কলেজছাত্র দুর্জয় হাসান শাকিব বলেন, “প্রতিদিন কলেজে যাওয়া-আসার পথে দুইটা করে তালের শাঁস খেয়ে নিই, এতে শরীর ভালো থাকে।” স্থানীয় তালের শাঁস বিক্রেতা বাধন মিয়া জানান, তিনি গ্রাম থেকে গাছসহ বা পিস হিসেবে তাল কিনে এনে বিক্রি করেন। একেকটি তালের শাঁস কিনতে লাগে ৩ থেকে ৬ টাকা এবং বিক্রি করেন ৫ থেকে ১০ টাকায়। দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্রি বেশ ভালো হয় বলে জানান তিনি। তার ভাষায়, “মানুষ গরমে খুব কষ্ট পায়, তাই শরীর ঠাণ্ডা রাখতে তালের শাঁস কিনে খায়।”
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, তালের শাঁসে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, ফাইবার ও খনিজ উপাদান, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তালশাঁসের প্রায় পুরো অংশই জলীয় হওয়ায় এটি পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে এবং গরমে শরীর ও পেট ঠাণ্ডা রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ফলে নালিতাবাড়ীর রোদঝলমলে দিনে তালশাঁস হয়ে উঠেছে স্বস্তির এক নির্ভরযোগ্য উৎস।