ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
জাপানের রাজধানী টোকিওতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ৩০তম নিক্কেই ফোরাম-এর তৃতীয় দিনের সম্মেলনে তিনি বলেন, "ডিসেম্বরে নির্বাচন সব দল চায় না, একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলই এ সময়ের পক্ষে।"
ড. ইউনূস তার বক্তব্যে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, "আমার কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য।"
তিনি জানান, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন — এই তিনটি অগ্রাধিকার নিয়ে কাজ করছে সরকার। তবে ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজন কতটা বাস্তবসম্মত, তা নির্ভর করবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের অগ্রগতির ওপর। "তাড়াহুড়ো করে সংস্কার করলে স্থায়িত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সুষ্ঠু ও টেকসই সংস্কারের জন্য ডিসেম্বরের পরে আরও ছয় মাস সময় প্রয়োজন হতে পারে," — মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "বর্তমান সরকার অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে মানুষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ক্ষমতায় এসেছে। আমরা চাই, একটি নির্বাচিত সরকারকেই সুস্থ পরিবেশে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে।"
টোকিও সম্মেলনে ড. ইউনূস বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক ভূমিকা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়গুলোও তুলে ধরেন। পাশাপাশি, তরুণ প্রজন্মকে চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও শান্তি প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, "ভবিষ্যৎ কেবল জিডিপির বৃদ্ধিতে নয়, বরং মানবকল্যাণ, আস্থা ও সাহসিকতায় নির্ধারিত হবে।"
এই বক্তব্যে স্পষ্ট, নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক মতানৈক্য ও সময়সূচি নির্ধারণে এখনও রয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার — এমনই বার্তা দিলেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা।