ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
সরকারি ব্যয় সংকোচন ও প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গঠিত এই মিশনের অন্যতম মুখ ছিলেন মাস্ক। তবে হঠাৎ করেই তিনি এ দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
ডিওজির ‘স্পেশাল গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ি’ হিসেবে ১৩০ দিনের জন্য নিযুক্ত ছিলেন মাস্ক, যার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩০ মে ২০২৫। তার মেয়াদকালেই সংস্থাটি প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করে। তবে এ পর্যন্ত মাত্র ১৭৫ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের প্রমাণ দিতে সক্ষম হয়েছে ডিওজি।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক বিশাল বাজেট বিল ঘোষণা করেন, যার প্রেক্ষিতে মাস্ক সেই বিলকে ডিওজির ব্যয় সংকোচন নীতির পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন। এর পরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের বাজেট বিল আগামী দশকে প্রায় ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের ঘাটতি সৃষ্টি করবে, যা মাস্কের বাজেট সংযমনীতির সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
বিশ্লেষকদের ধারণা, মাস্কের এই সিদ্ধান্তের পেছনে তার ব্যবসায়িক স্বার্থও বড় ভূমিকা রেখেছে। ডিওজির কার্যক্রম ও সরকারি নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে তার কোম্পানি টেসলা রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বিক্রিতে। এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের কর সংস্কার বিলও মাস্কের আর্থিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল।
পদত্যাগের ঘোষণায় মাস্ক জানান, তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করছেন যে ডিওজি তার অনুপস্থিতিতেও সঠিক লক্ষ্যেই এগিয়ে যাবে। তিনি এখন তার তিনটি বৃহৎ কোম্পানি—'X', 'Tesla' এবং 'SpaceX'—এর নেতৃত্বে অধিক মনোযোগ দিতে চান।
২০২৬ সালের ৪ জুলাই পর্যন্ত কার্যক্রম চালানোর কথা ছিল ডিওজির। কিন্তু মাস্কের পদত্যাগ এবং আংশিক সফলতা এখন সংস্থাটির ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। প্রশাসনের অভ্যন্তরে আলোচনা চলছে, এটি স্থগিত রাখা হবে, না কি পুনর্গঠন করে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করা হবে।