ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। কর্মসূচি শেষে সচিবালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ঐক্য ফোরামের নেতারা। সেখানে তারা জানান, পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে রোববার ও সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হবে।
ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদীউল কবীর, মুহা. নূরুল ইসলাম এবং কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম জানান, রোববার স্মারকলিপি দেওয়া হবে উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, ফাওজুল কবির খান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে। সোমবার দেওয়া হবে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমের হাতে। এ ছাড়া মাঠপর্যায়ে সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের মাধ্যমেও এই দাবিনামা পৌঁছে দেওয়া হবে।
তারা বলেন, “আমরা সংঘাত চাই না, সমাধান চাই। তাই সংবিধানসম্মত পথে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবি উপস্থাপন করছি।” ঐক্য ফোরামের নেতাদের আশা, জাপান সফরে থাকা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ফিরলে এ বিষয়ে ‘ভালো সংবাদ’ মিলতে পারে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন পায়। এরপর রবিবার সন্ধ্যায় সরকার ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে। এই অধ্যাদেশে কিছু বিতর্কিত ধারা যুক্ত হওয়ায় সচিবালয়ের কর্মচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন।
গত শনিবার থেকে টানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে কর্মবিরতি পালন এবং স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঐক্য ফোরাম। তাদের দাবি, এই অধ্যাদেশ সরকারি চাকরিজীবীদের অধিকার খর্ব করছে এবং প্রশাসনিক কাঠামোয় বৈষম্য তৈরি করছে।
এই ইস্যুতে সরকার কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি এখনো। তবে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় চাপ বাড়ছে প্রশাসনের ভেতরে।