বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বলেছেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার অনন্য রূপকার শহীদ জিয়া। তাঁর আদর্শেই আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবো।”
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, শহীদ জিয়া যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামে জীবন দিয়েছেন, সেই গণতন্ত্রের যাত্রাপথ এখনও প্রতি পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, শিগগিরই দেশে একটি পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে।
“প্রতি বছর এই দিনটি আমাদের পরিবারের জন্য এক বেদনাবিধুর স্মৃতি নিয়ে আসে,”—উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, “এই দিনটি শুধু আমাদের নয়, বরং পুরো জাতির জন্য এক অভিভাবকহীনতার দিন। শহীদ জিয়া ছিলেন সেই নেতা, যিনি চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশের সঙ্গে নিজের নামকে একাকার করে ফেলেছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “একজন সফল, সৎ, দূরদর্শী ও প্রকৃত দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শহীদ জিয়া দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।”
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে যেতে হবে। বিএনপির সব স্তরের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি, যেন আমরা শহীদ জিয়ার রেখে যাওয়া আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।”
উল্লেখ্য, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হন। তার রাষ্ট্রনায়কত্ব ও রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখনও বিস্তর আলোচনা ও বিতর্ক রয়েছে। তবে বিএনপির দৃষ্টিতে তিনি একজন প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রনায়ক যিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের ভিত্তি স্থাপন করেন।