সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ।”
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের আয়োজনে চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আহত শান্তিরক্ষীদের সংবর্ধনার উদ্দেশ্যে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সেনাপ্রধান তাঁর বক্তব্যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রাণ উৎসর্গ করা ১৬৮ জন বীর সেনা ও পুলিশ সদস্যকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “তাদের আত্মত্যাগ জাতি কখনো ভুলবে না।”
জেনারেল ওয়াকার জানান, বাংলাদেশ ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে। বর্তমানে বিশ্বের নয়টি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশ বাহিনীর মোট ৫৫১৮ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর ৪৮৮০ জন, নৌবাহিনীর ৩৪৩ জন, বিমান বাহিনীর ৩৯৬ জন এবং পুলিশ বাহিনীর ১৯৯ জন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমাদের শান্তিরক্ষীরা প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। বর্তমানে ৪৪৪ জন নারী শান্তিরক্ষী বিশ্বের বিভিন্ন মিশনে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।”
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অবদান তুলে ধরে সেনাপ্রধান জানান, কঙ্গোতে একটি হেলিকপ্টার কন্টিনজেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে এবং পেরুর সেনাবাহিনীকে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়কারী সরঞ্জাম অনুদান দেওয়া হয়েছে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে, যার উদ্বোধনে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধানও উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক অতিথিদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, “বাংলাদেশ শান্তির পক্ষে অটল রয়েছে এবং জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তা বারবার প্রমাণ করে চলেছে।”
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী ও প্রধান অতিথি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, রাষ্ট্রদূত, হাই কমিশনার, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।