Logo Logo
প্রবাসী

গ্রিসে কঠোর হচ্ছে অভিবাসন আইন, নতুন আইনে সম্পর্কে যা জানা গেল


Splash Image

ছবি: নিকিতাস কোতসিয়ারিসিস/ইপিএ (ফাইল ছবি)

গ্রিসে অনিয়মিতভাবে দীর্ঘদিন থাকার পর নিয়মিত হওয়ার যে আইনি সুযোগ ছিল, তা বাতিলের পথে দেশটির সরকার। নতুন অভিবাসন আইন অনুযায়ী, আর কোনো অনিয়মিত অভিবাসী বৈধতার আবেদন করতে পারবেন না।


বিজ্ঞাপন


বুধবার (২৮ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস।

তিনি জানান, “যাদের আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, তাদের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা এবং দ্রুত নির্বাসনের লক্ষ্যে নতুন আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।” নতুন আইনে অনিয়মিত অভিবাসীদের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং নির্বাসন প্রক্রিয়া দ্রুত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

গ্রিসের অভিবাসনমন্ত্রী মাকিস ভোরিদিস নিশ্চিত করেছেন যে, মন্ত্রিসভা খসড়া আইনে সম্মতি দিয়েছে এবং জুন মাসেই পার্লামেন্টে বিল আকারে উত্থাপন করা হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে বিলটি সহজেই পাস হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

ভোরিদিস আরও বলেন, অনিয়মিত অভিবাসীরা প্রায়ই মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাসন প্রক্রিয়া দীর্ঘ করেন। তিনি জানান, “প্রতি বছর প্রায় ৫৫ থেকে ৬৫ হাজার অভিবাসী গ্রিসে প্রবেশ করেন। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের আবেদনই নাকচ হয়।”

২০২৩ সালে গ্রিক পুলিশ ৭৪ হাজার অনিয়মিত অভিবাসীকে আটক করে, কিন্তু মাত্র আড়াই হাজার জনকে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “এই সুযোগের অপব্যবহার হচ্ছে বলেই আমরা এই নিয়ম বাতিল করছি।”

সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যেসব অভিবাসী অনিয়মিত অবস্থায় থাকবেন, তারা আর কখনও বৈধতা বা বসবাসের অনুমতি পাবেন না। অভিবাসনবিরোধী নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি, প্রশাসনিক আটকাদেশের মেয়াদ ১৮ মাস থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ দুই বছর করার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।

তবে, যারা স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফেরত যেতে চান, তারা চাইলে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে প্রত্যাবাসনের সুযোগ পাবেন।

অন্যদিকে, ব্যাংক অব গ্রিসের গভর্নর ইয়িয়ানিস স্টোরনারাস জানান, দেশটিতে প্রায় দুই লাখ শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে। ফলে সরকার ‘নিয়মিত অভিবাসনকে উৎসাহিত’ করতে চায়, যা জুলাইয়ের মধ্যে কার্যকর হবে।

এদিকে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে গ্রিসে অভিবাসী প্রবাহ ৩০ শতাংশ কমেছে, যদিও নতুন একটি পাচার রুটে লিবিয়া থেকে ক্রিট ও গাভদোস দ্বীপে আগমন বেড়েছে।

গ্রিসে এখনও হাজার হাজার প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থী আটকে আছেন। আশ্রয় ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে এবং প্রক্রিয়া দ্রুত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আইন সংশোধনের প্রস্তাবও এসেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫-১৬ সালে ইউরোপমুখী অভিবাসনপ্রবাহের সময় গ্রিস ছিল সম্মুখভাগে। এরপর থেকে অভিবাসন দেশটির রাজনৈতিক আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে প্রধানমন্ত্রী মিৎসোতাকিস এবার আরো কঠোর অবস্থানে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন

ত্রাণ মজুত, তবুও নেই সহায়তা : ঝড়-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন
ত্রাণ মজুত, তবুও নেই সহায়তা : ঝড়-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ব্যক্তি ও সমাজ, ঈদুল আজহায় এনসিপির শুভেচ্ছা বার্তা
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ব্যক্তি ও সমাজ, ঈদুল আজহায় এনসিপির শুভেচ্ছা বার্তা