ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরী জেলার গোলকগঞ্জ থানার অন্তর্গত ফাইসকারকুটি সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় বিএসএফ সদস্যরা প্রায় ৫০-৬০ জন নাগরিককে বাংলাদেশের দিকে পুশ ইন করতে উদ্যত হলে সীমান্তের দুই পাশে মুখোমুখি অবস্থান নেয় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ঘটনাটি ঘটে কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের শোভারকুটি ও শিপেরহাট সীমান্ত এলাকায়। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিএসএফ সদস্যরা দুটি পিকআপ ভ্যানে করে ওইসব মানুষকে সীমান্তের নিকটবর্তী একটি স্কুলে নিয়ে আসে। এর পরপরই তারা সীমান্ত গ্রামটির সব লাইট নিভিয়ে দিয়ে পুশ ইন করার চেষ্টা শুরু করে।
খবরটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়লে শত শত স্থানীয় জনতা এগিয়ে এসে প্রহরায় অংশ নেন। তারা প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানব দেয়াল গড়ে তুলে রাতভর সীমান্ত পাহারা দেন। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যায় কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির কচাকাটা ও কেদার ক্যাম্পের সদস্যরা। সঙ্গে ছিল আনসার ও ভিডিপির টিম।
বিজিবির কঠোর অবস্থানের মুখে রাত ২টার দিকে শূন্যরেখায় পৌঁছে বিএসএফের একটি দল বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে, কিন্তু বিজিবি কোনো আলোচনা বা ছাড় না দিয়ে দৃঢ় অবস্থান বজায় রাখে। অবশেষে রাত ৩টার দিকে বিএসএফ সদস্যরা শূন্যরেখা থেকে পিছু হটে।
কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব উল হক জানান, “সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ যেন অবৈধভাবে কাউকে পুশ ইন করতে না পারে, সেজন্য আমরা আনসার ও স্থানীয়দের নিয়ে একত্রে পাহারার ব্যবস্থা নিয়েছি। সীমান্তে টহল আরও জোরদার করা হয়েছে।”
সীমান্তে এমন পুশ ইন চেষ্টার ঘটনা শুধু আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নয়, স্থানীয় নিরাপত্তাকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়। তাই জনসচেতনতা এবং স্থানীয় অংশগ্রহণ এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।