ছবি: ট্রলার
বিজ্ঞাপন
ট্রলারটিতে মোট ৩৯ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে ছিলেন পুলিশ সদস্য, আনসার, রোহিঙ্গা রোগী ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কর্মীরা। তারা ভাসানচর থেকে হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিলেন।
দুপুর ২টার দিকে যাত্রা শুরু করা ট্রলারটি নদীপথে প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার অগ্রসর হলে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল ঢেউয়ের মুখে পড়ে। বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যায়। ঘটনার পরপরই ভাসানচর থানার ওসি মো. কুতুব উদ্দিন ও হাতিয়া থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে উদ্ধারে নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাতিয়া থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ১৯ থেকে ২০ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত দুই পুলিশ সদস্যসহ ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার অভিযানে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং স্থানীয় জেলেরা যৌথভাবে কাজ করছে।
স্থানীয়দের দাবি, পূর্বাভাস উপেক্ষা করে নদীপথে ট্রলার চলাচলের কারণে এমন দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। নদীতে নৌযান চলাচলের আগে আবহাওয়া সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার না করলে ভবিষ্যতেও এ ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে সময়ের গুরুত্ব বুঝে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় প্রশাসন।
প্রতিবেদক- গিয়াস রনি, নোয়াখালী।