বিজ্ঞাপন
আজ রোববার (১ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের চার সদস্যের আপিল বিভাগ এই বহুল আলোচিত রায় দেন।
২০০৯ সালে ২৫ জন নাগরিক, যাদের মধ্যে সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী অন্যতম, হাইকোর্টে একটি রিট করেন। তাদের অভিযোগ ছিল, জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র ও কর্মকাণ্ড সংবিধানবিরোধী হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া দলটির নিবন্ধন বাতিল হওয়া উচিত। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন এবং একই সঙ্গে আপিলের অনুমতিও দেন।
জামায়াত সেই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর ‘লিভ টু আপিল’ করেন। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে দেয়।
২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর, কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আপিল বিভাগ জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন (ডিসমিসড ফর ডিফল্ট)। তবে দলটি পরে ‘ডিফল্ট মাফ’ চেয়ে নতুন আবেদন করলে ২২ অক্টোবর তা মঞ্জুর করা হয় এবং শুনানি পুনরায় শুরু হয়। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া শুনানি শেষে কয়েক দফায় আলোচনার পর আজ রায় ঘোষণা করা হয়।
এ রায়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনে অংশগ্রহণের আইনগত বাধা সরল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে।