বিজ্ঞাপন
চার ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি নয়
হাদিসে উল্লেখ আছে, কানা, গুরুতর অসুস্থ, খোঁড়া এবং এতটাই দুর্বল পশু যাদের হাড়ে মজ্জা নেই—এ ধরনের পশু কোরবানি করা নিষিদ্ধ (নাসায়ি, হাদিস ৪৩৬৯)। তাই পশু নির্বাচনে সতর্কতা জরুরি।
ঈদের নামাজের আগে কোরবানি নয়
রাসুল (সা.) বলেছেন, নামাজের আগে জবেহ করলে তা ব্যক্তিগত মাংস খাওয়ার শামিল হয়, কোরবানি হয় না (বুখারি, হাদিস ৫৫৪৬)।
আল্লাহর নামে নিজ হাতে জবেহ
পশু জবাইয়ের সময় “বিসমিল্লাহ, আল্লাহু আকবার” বলা এবং নিজের হাতে কোরবানি করা সুন্নত। এতে ত্যাগ ও নিবেদনের পূর্ণতা আসে (নাসায়ি, হাদিস ৪৪১৭)।
ধারালো ছুরি ও পশুর প্রতি দয়া
ছুরি শানিয়ে নেওয়া এবং পশুকে কষ্ট না দিয়ে ঠাণ্ডা হওয়ার সময় দেওয়া ইসলামের নির্দেশ (নাসায়ি, হাদিস ৪৪০৫)। এটি কোরবানির মানবিক দিককে প্রতিফলিত করে।
কবুলের জন্য প্রার্থনা
নবী (সা.) দোয়াসহ কোরবানি করতেন—“হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার ও উম্মতের পক্ষ থেকে এই কোরবানি কবুল করে নাও” (মুসলিম, হাদিস ১৯৬৭)। আমরাও এই সুন্নত অনুসরণ করতে পারি।
গোশতের বণ্টন ও দান
আল্লাহ বলেন, “তোমরা খাও ও অভাবগ্রস্তদের খাওয়াও” (সুরা হজ, আয়াত ২৮)। নবী (সা.) বলেন, “খাও, খাওয়াও, সংরক্ষণ করো” (মুসলিম, হাদিস ১৯৭৩)। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও দরিদ্রদের দেওয়া কোরবানির অংশ হিসেবে গণ্য হয়।
কোরবানির পশু জবেহ শুধু রক্ত ঝরানো নয়, বরং নিজ অহং, কৃপণতা ও পশুত্বকে বিসর্জনের এক প্রতীকী ও আধ্যাত্মিক ইবাদত। তাই নিয়ম জানা এবং তা অনুসরণ করাই কোরবানিকে পূর্ণতা দেয়।