ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে দুই শিশু ও একজন নারী রয়েছেন। এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ওই গ্রামের মো. ইয়াজ উদ্দিন পরিবারসহ আধাপাকা ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ পাশের টিলাটি ধসে পড়লে সম্পূর্ণ ঘরটি মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। এলাকাবাসী দ্রুত ছুটে এসে উদ্ধার চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে তারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের তালতলা কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, খবর পাওয়ার পরপরই ভোর ৪টার দিকে দুইটি ইউনিট স্টেশন অফিসার টিটক শিকদারের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। গাছপালা পড়ে রাস্তাঘাট বন্ধ থাকায় পৌঁছাতে দেরি হয় বলে জানান তিনি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লক্ষনাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খলকু বলেন, “পুরো ইউনিয়নবাসীর জন্য এটি এক শোকের রাত। ইয়াজ উদ্দিনের পরিবার ধ্বংস হয়ে গেল। দুঃখজনকভাবে উদ্ধার তৎপরতায় বিলম্ব হয়েছে।”
সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান, “রাত ১টা থেকে টানা ভারী বর্ষণ চলছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে ও জলাবদ্ধতায় রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে উদ্ধারকর্মীদের ঘটনাস্থলে যেতে হয়।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, টানা দুই ঘণ্টা ধরে প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলেও তৎপরতা দেখা যায়নি। একপর্যায়ে তারাই উদ্ধারকাজে হাত লাগান। তবে টানা বৃষ্টিপাত ও দ্বিতীয়বার টিলা ধসের কারণে উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ রাখতে হয়।
একই রাতে উপজেলার চৌধুরীবাজার ও বিয়ানীবাজার এলাকাতেও টিলা ধসের খবর পাওয়া গেছে। তবে সেসব স্থানে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।