বিজ্ঞাপন
বজ্রপাতে নিহতরা হলেন- নকলা উপজেলার টালকি ইউনিয়নের পশ্চিম বড়পাগলা গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে ছমির উদ্দিন (৫৫) এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের পূর্ব মানিককুড়া গ্রামের খোরশেদ আলমের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৪৫)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হাজেরা বেগম দুপুর দেড়টার দিকে তার নাতনিকে মাদ্রাসা থেকে আনতে গিয়ে মানিককুড়া গ্রামের হাজীমোড় এলাকায় বজ্রপাতে মারা যান।
এদিকে, শনিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা ও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। দুপুরের দিকে আকাশ মেঘলা ও ভারী বৃষ্টির কারণে মাঠে চড়ানো গরু আনতে যান সমু। এ সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে ছমির উদ্দিন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এই প্রসঙ্গে টালকি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বদর উদ্দিন বদ্দি বলেন, আমার প্রতিবেশী সমু বাড়ির পাশের মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে দুপুরে বজ্রপাতে নিহত হন। তার জানাজার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা এবং নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ছমির উদ্দিন বজ্রপাতের শব্দে স্ট্রোক করে মারা যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদক - আইনুল নাঈম, নকলা, শেরপুর।