ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
সরকারি সফর শেষে আজ সোমবার দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ দেশ কাতারে এক সপ্তাহব্যাপী এই সফরে তিনি বৈঠক করেছেন কাতারের শীর্ষ সামরিক-বেসামরিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে। সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-কাতার দ্বিপাক্ষিক সামরিক ও ক্রীড়া সহযোগিতায় নতুন দিগন্তের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সেনাবাহিনী প্রধানের কাতার সফর শুরু হয় গত ৩ মে। সফরকালে তিনি কাতার অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট শেখ জোয়ান বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে উভয় দেশের অলিম্পিক কমিটির স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, খেলাধুলা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ এবং বাংলাদেশে ‘অলিম্পিক ভিলেজ’ নির্মাণের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশে আন্তর্জাতিকমানের ক্রীড়া প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার নতুন সুযোগ তৈরি হতে পারে।
পরদিন ৪ মে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শেখ সাউদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল আজিজ বিন ফয়সাল আল থানির সঙ্গে। এই বৈঠকগুলোতে সামরিক সহযোগিতা, প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিরক্ষা শিল্পে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব এবং দক্ষ জনশক্তি বিনিময় ইস্যুতে আলোচনা হয়।
এছাড়া, সেনাপ্রধান কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল জসিম বিন মুহাম্মদ আল মানাই-এর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সম্পর্ক জোরদার, যৌথ প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষণার্থী বিনিময় এবং কাতারে অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশি সেনাসদস্যদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি গুরুত্ব পায়।
আইএসপিআর সূত্র জানায়, এই সফর ছিল মূলত সৌজন্যমূলক, তবে এতে যে কৌশলগত ও বাস্তব উন্নয়নের সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা ভবিষ্যতে আরও ফলপ্রসূ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদারে সেনাবাহিনীর এই ধরণের উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করে তুলছে।