বিজ্ঞাপন
এর প্রভাবে দ্বীপজুড়ে দেখা দিয়েছে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ এবং বিদ্যুতের চরম সংকট।
২৫ মে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন নিরাপত্তার স্বার্থে সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপর থেকেই বন্ধ রয়েছে জরুরি পণ্য পরিবহন এবং যাতায়াত ব্যবস্থা। দ্বীপে গুদাম না থাকায় প্রতিদিন টেকনাফ থেকেই প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, তরকারি, জ্বালানি এবং ওষুধ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় তা আর সম্ভব হচ্ছে না।
সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া ও গলাচিপা এলাকা জলোচ্ছ্বাসে পানির নিচে চলে গেছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক। তিনি বলেন, “সব শেষ। খাবার নেই, জ্বালানি নেই, বিদ্যুৎও নেই। সূর্যের আলো না থাকায় সোলার বিদ্যুৎ বন্ধ, আর জেনারেটরের জন্য জ্বালানিও নেই।”
আরেক বাসিন্দা জসিম উদ্দিন শুভ জানান, বাজারের অধিকাংশ দোকান বন্ধ, কাঁচা তরকারি ও চাল-ডালের মতো খাদ্যপণ্য শেষ প্রায়। বিদ্যুৎহীন দ্বীপে রাত কাটছে আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তায়।
এদিকে প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, “আজ রোববার সার্ভিস বোট পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এক হাজার মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা পাঠানো হয়েছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”
তবে আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বাণিজ্যিক বোট চলাচলের সম্ভাবনা কম, ফলে সংকট দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রতিদিনকার জীবনধারার ওপর মূল ভূখণ্ডের উপর নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। পর্যাপ্ত গুদাম বা মজুদ ব্যবস্থাপনা না থাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বারবার এমন সংকট সৃষ্টি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্বীপবাসীর টিকে থাকার জন্য দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পিত অবকাঠামো প্রয়োজন।