বিজ্ঞাপন
এই ঐতিহাসিক আদেশ আজ রবিবার দিয়েছেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলার অপর অভিযুক্ত, তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৬ জুন এই তিন আসামিকে সশরীরে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হয়। এই ঘটনায় প্রথম একটি বিবিধ মামলা দাখিল করা হয়, যা তদন্ত শেষে মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে। তদন্ত সংস্থা ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে জমা দেয়। পর্যালোচনা শেষে সেই প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে পেশ করা হয়।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, আনুষ্ঠানিক অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ছাড়াও আরও দুটি মামলা রয়েছে। একটি হল আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-খুন সংক্রান্ত, এবং অন্যটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের বিক্ষোভে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।
এই মামলার বিচারক প্যানেলে রয়েছেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। তারা জানিয়েছেন, মামলার পরবর্তী শুনানিতে অনুপস্থিত থাকলে পরোয়ানা কার্যকর করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হবে।