ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের মানুষ পাচ্ছে টানা ১০ দিনের ছুটির আনন্দ। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনিও বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এবার ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হবে ঈদের আগের দিন থেকে, এবং চলবে ঈদের পর আরও কয়েক দিন। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ঈদের মূল ছুটি তিন দিন হলেও এর সঙ্গে মিলিয়ে সরকারি নির্বাহী আদেশে অতিরিক্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবীদের জন্য দীর্ঘ বিশ্রামের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এর আগে পবিত্র ঈদুল ফিতরেও সরকার ৯ দিনের টানা ছুটি দিয়েছিল। তখন ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলেছিল ছুটি। স্বাধীনতা দিবস (২৬ মার্চ) ও ঈদের আগে-পরে অতিরিক্ত ছুটির দিনগুলো মিলিয়ে দেশের মানুষ লম্বা সময় ধরে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কাটানোর সুযোগ পেয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ ছুটিতে একদিকে যেমন মানুষ মানসিকভাবে প্রশান্তি পায়, অন্যদিকে কর্মক্ষেত্র ও উৎপাদন খাতে কিছুটা স্থবিরতা দেখা দিতে পারে। তবে ঈদ মৌসুমে দেশের পরিবহন, পর্যটন ও খুচরা বাজারে অর্থনৈতিক গতি বাড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
ঈদুল আজহা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। কোরবানির এই ঈদে গ্রামগঞ্জে মানুষ আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হন। ফলে ছুটির ব্যাপ্তি বাড়লে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত ও ভ্রমণের চাপও বেড়ে যায়।
এছাড়াও ছুটি সামনে রেখে বাস-লঞ্চ-রেল টিকিটের চাহিদা বাড়বে। ইতোমধ্যেই আন্তঃনগর পরিবহন কোম্পানিগুলো টিকিট বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা জানান, “জাতীয় ও ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশা করি, সবাই এই ছুটি যথাযথভাবে উপভোগ করবেন।”