ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২৯ মে শুনানি শেষে এই দিন নির্ধারণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে নেতৃত্ব দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসিম সরকার, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়াসউদ্দিন গাজি, লাবনি আক্তার, তানভীর প্রধান, সুমাইয়া বিনতে আজিজ এবং আসাদুল্লাহ আল গালিব।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এই ঘটনার পর সারা দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত বহুল আলোচিত রায় দেন। এতে পুলিশের বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলী এবং টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় আরও ছয়জনকে—এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন। অপরদিকে সাতজন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
সিনহা হত্যাকাণ্ডের পরপরই দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহিতা এবং চেকপোস্টে নিরাপত্তা কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন উঠে আসে। আলোচিত এই মামলার রায়ের দিকে আজ তাকিয়ে রয়েছে পুরো দেশ।