বিজ্ঞাপন
সংস্থাটি বলছে, এই ধরনের পদক্ষেপ ‘জুলাই আন্দোলনের বৈষম্যবিরোধী চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক’ এবং এটি সৎ করদাতাদের প্রতি চরম অবিচার।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, “বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বহাল রাখা হয়েছে, যা নিয়মিত কর প্রদানকারী নাগরিকদের নৈতিকতাকে আঘাত করে। এতে বৈধভাবে উপার্জনকারীদের সঙ্গে একটি বৈষম্যমূলক ব্যবধান তৈরি হবে, যা সামাজিক অসন্তোষ বাড়াতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রস্তাবিত বাজেটে আয়কর আইন-২০২৩ এর প্রথম তফসিল অনুসারে যেকোনো ব্যক্তি আবাসন খাতে বিনিয়োগ করে নির্ধারিত হারে কর প্রদান করে কালোটাকা বৈধ করতে পারবেন। যদিও এবারে কর হার কিছুটা বাড়ানো হয়েছে, তবুও এটি একটি ভুল বার্তা দেয়।”
সিপিডির মতে, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ শুধুই রাজস্ব বাড়াবে না বরং করনীতি এবং সুশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা দুর্বল করবে। ফাহমিদা বলেন, “সরকার যদি সত্যিই অর্থপাচার ও অবৈধ আয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায়, তবে কর আইন ও বিধিমালার সঠিক প্রয়োগেই মনোযোগ দেওয়া উচিত। এ ধরনের সুযোগ সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করে এবং বৈষম্যহীন অর্থনীতির লক্ষ্যকে দূরে সরিয়ে দেয়।”
তিনি আরও সতর্ক করেন, “এটি একটি সামাজিক বৈষম্যের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়াবে। বৈধ উপার্জনের মানুষদের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবে, ফলে ন্যায়ের নীতির ওপর আঘাত আসবে।”
এর আগে সোমবার (২ জুন) অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। বাজেটে উল্লেখ করা হয়, যে কেউ নির্ধারিত হারে কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগ করে বৈধ করতে পারবেন।
বাজেটের সামগ্রিক কাঠামো নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সিপিডি। তাদের মতে, বিচ্ছিন্ন কিছু ভালো পদক্ষেপ থাকলেও সামগ্রিকভাবে কাঠামোগত কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। “এক জায়গায় একটু বেশি, আরেক জায়গায় একটু কম—এইভাবে বাজেট সাজানো হয়েছে,” মন্তব্য করেন ড. ফাহমিদা।