ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
গ্রীষ্মকাল মানেই তীব্র রোদ, ঘাম, ধুলাবালি আর অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ত্বকের নানা সমস্যা। কেউ হয়তো এই সময়টাকে উপভোগ করেন, আবার অনেকেই গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তবে এই সময়ের কিছু ফল নিয়মিত খেলে শুধু শরীরই নয়, ত্বকেরও বিশেষ উপকার হয়। গ্রীষ্মকালীন ফল যেমন রসালো, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। বিশেষ করে ত্বককে ভিতর থেকে সতেজ, হাইড্রেটেড এবং উজ্জ্বল রাখতে এই ফলগুলোর অবদান অনস্বীকার্য।
তবে কোন কোন ফল ত্বকের জন্য সত্যিই উপকারী? চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন পাঁচটি গ্রীষ্মকালীন ফল সম্পর্কে, যেগুলো ত্বকের জন্য হতে পারে প্রাকৃতিক আর্শীবাদ।
১. তরমুজ
তরমুজের প্রায় ৯৫ শতাংশই পানি, যা গরমে শরীর এবং ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে অসাধারণভাবে কাজ করে। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে এবং ময়েশ্চারাইজড রাখতে তরমুজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই এটি ফেস মাস্ক হিসেবেও ব্যবহার করেন। তরমুজে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে রাখে সতেজ ও দীপ্তিময়।
২. ফুটি
ফুটি হয়তো সবার পছন্দের নয়, কিন্তু এটি ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ। এই ভিটামিন ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, যা ত্বককে করে কোমল ও টানটান। ফুটিতেও উচ্চমাত্রায় পানি থাকায় গ্রীষ্মে এটি দারুণ এক হাইড্রেটিং ফল।
৩. স্ট্রবেরি
গোলাপি-লাল এই ফলটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা ত্বকের বার্ধক্য রোধে সহায়ক। স্ট্রবেরি ত্বকের ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতি কমিয়ে দেয়। সকালবেলার ব্রেকফাস্টে দই বা সিরিয়ালের সঙ্গে খেতে পারেন, আবার স্মুদি বা শেক হিসেবেও উপভোগ্য।
৪. পেঁপে
পেঁপের মধ্যে রয়েছে এনজাইম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা প্রাকৃতিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করে এবং এক্সফোলিয়েট করে। এটি ত্বকের মৃত কোষ সরাতে সহায়ক। গরমে ত্বক কোমল রাখতে পেঁপে অত্যন্ত উপযোগী, বিশেষ করে সালাদ কিংবা স্মুদিতে।
৫. আনারস
আনারসে রয়েছে ব্রোমেলেন নামক উপাদান, যা ত্বক থেকে মৃত কোষ সরাতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবেও পরিচিত। এছাড়াও, ভিটামিন সি এবং বি-৬ সমৃদ্ধ এই ফল ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
গ্রীষ্মকালে ত্বকের সুরক্ষায় যতটা না প্রয়োজন বাহ্যিক যত্ন, তার চেয়েও বেশি দরকার অভ্যন্তরীণ পুষ্টি। পানি-সমৃদ্ধ এই ফলগুলো প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখলে ত্বক থাকবে মসৃণ, উজ্জ্বল এবং সুস্থ। গরমে সতেজ থাকতে হলে, ত্বকের যত্ন নিতে হলে — ফলই হতে পারে সবচেয়ে নিরাপদ ও প্রাকৃতিক উপায়।