ছবি: পুশ ইন
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাড়িভাষা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ প্রথমে নয়জনকে দেখতে পেয়ে আটক করে এবং বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করে। অন্যদিকে, স্থানীয়দের মাধ্যমে আরও পুশ-ইনের তথ্য পেয়ে বিজিবির সদস্যরা ভোরে অভিযান চালিয়ে বড়বাড়ী ও খুনিয়াপাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে আরও ১৭ জনকে আটক করে হেফাজতে নেয়।
আটকদের মধ্যে নয়জন নারী, আটজন পুরুষ এবং নয়জন শিশু রয়েছে। সবাই বাংলাদেশের নাগরিক এবং তাদের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী উপজেলায় বলে জানা গেছে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, আটককৃতরা দীর্ঘ ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে ভারতে অবস্থান করছিলেন। গত ২৮ মে ভারতের সিআইডি পুলিশ তাদের আটক করে কলকাতায় নেয় এবং পরে উড়োজাহাজে করে বাগডোগরায় এনে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর বিএসএফ তাদের পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে।
বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে দুপুরে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, “ঘটনার পর আমরা বিএসএফের সঙ্গে কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করেছি। আটকদের বিষয়ে জিডি (সাধারণ ডায়েরি) ভিত্তিতে পঞ্চগড় সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় নজরদারি ও তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।”
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন, “রত্নীবাড়ী বিওপি থেকে ১৭ জন এবং ঘাগড়া বিওপি থেকে নয়জনসহ মোট ২৬ জনকে বিজিবি আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে আপাতত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, তারা প্রকৃত বাংলাদেশি কিনা তা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২১ মে ভোরে একইভাবে ভারত থেকে আরও ২১ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করা হয়েছিল।
-মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, পঞ্চগড় প্রতিনিধি