ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
বুধবার এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, “এই প্রস্তাব আমাদের জাতীয় আত্মবিশ্বাস ও ‘আমরাও পারি’ নীতির পরিপন্থী।”
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি ছিল, ইরান যেন তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধ করে এবং মজুদকৃত উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়াম বিদেশে পাঠায়। এর জবাবে ইরান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে— এই প্রস্তাব তাদের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী এবং একে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য মনে করে না তেহরান।
খামেনি বলেন, “আমেরিকানরা বারবার বলছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থাকা উচিত নয়। কিন্তু ইরান কী করবে, সেটা ঠিক করে দেওয়ার তারা কে?” তিনি আরও বলেন, “ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ আমাদের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল চাবিকাঠি— আর শত্রুরা এটাকেই লক্ষ্যবস্তু করছে।”
গত শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্র তেহরানকে নতুন একটি প্রস্তাব দেয়। ওমান ছিল এই আলোচনার মধ্যস্থতাকারী। যদিও এটি ছিল পঞ্চম দফার আলোচনার অংশ, কিন্তু এখনো বেশ কিছু গুরুতর ইস্যু অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
২০১৫ সালের ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলে আসছে। ট্রাম্প প্রশাসন তখনই পুনরায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং “চূড়ান্ত চাপ” কৌশল গ্রহণ করে। ক্ষমতায় ফিরে একই নীতি পুনরায় কার্যকর করছেন ট্রাম্প, যার ফলে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার চাপ আরও বাড়ছে।
ইসরায়েলের উদ্বেগও এই উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে। তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি বলে মনে করে এবং তেহরানের স্থাপনাগুলোতে হামলার হুমকি দিয়েছে। এর জবাবে ইরানও পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
তেহরান বারবার দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হচ্ছে। তবে পশ্চিমা শক্তিগুলো আশঙ্কা করছে, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করছে।