ছবি: জাম
বিজ্ঞাপন
নিউজ ডেস্ক
‘ব্ল্যাক প্লাম’, ‘জাম্বুল’, ‘কালা জামুন’, ‘নাভাল’—নানান নামে পরিচিত এই ফলটি গ্রীষ্মের বাজারে এখন বেশ সহজলভ্য। নুন-লবণ-লংকা দিয়ে খেলে যে স্বাদের ঝটকা লাগে, তা যেন জিভে লেগে থাকে বহুক্ষণ!
তবে চলুন এবার দেখে নিই, জামের প্রতিদিনকার কিছু উপকারিতা—যা জানলে সত্যিই আপনি অবাক হবেন!
জামের ৭টি বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা:
১. হজম ও ত্বকের জন্য উপকারী
জাম হজম শক্তি বাড়ায়, পেট ঠান্ডা রাখে এবং ত্বকের নানা সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। বিশেষত গরমকালে পেট ফোলাভাব বা অম্লতা রোধে এটি কার্যকর।
২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর
জামের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম, ফলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এমনকি এর বীজ, ছাল ও পাতাও আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়।
৩. রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়
আয়রনসমৃদ্ধ জাম শরীরে রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে ও রক্তস্বল্পতা দূর করে। এটি শরীরকে শক্তি জোগায় এবং অক্সিজেন পরিবহণে সহায়তা করে।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
জামে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান, যা দেহকে ইনফেকশন বা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।
৫. হার্ট ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
জামে থাকা উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক।
৬. দাঁত ও মাড়ির যত্নে ব্যবহার
জামগাছের পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে টুথপাউডার হিসেবে ব্যবহার করলে মাড়ির রক্তপাত, সংক্রমণ এবং দাঁতের নানা সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।
৭. ত্বক উজ্জ্বল রাখে
জামে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যাস্ট্রিনজেন্ট উপাদান, যা ত্বককে ব্রণমুক্ত ও প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করে।
📊 জামের পুষ্টিগুণ (প্রতি ১০০ গ্রাম):
ক্যালরি: ৬২
কার্বোহাইড্রেট: ১৫.৫ গ্রাম
ফাইবার: ১.৫ গ্রাম
ভিটামিন C: ১৮ মি.গ্রা.
আয়রন: ১.৪১ মি.গ্রা.
পটাশিয়াম: ৫৫ মি.গ্রা.
জাম শুধু একটি মৌসুমি ফল নয়, এটি একেবারে প্রকৃতির দেওয়া স্বাস্থ্যকর প্যাকেজ। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় জাম রাখলে আপনি পাবেন সুস্থ, সতেজ ও রোগমুক্ত জীবন।
তাই আজই কিনে আনুন কিছু জাম—আর উপভোগ করুন স্বাস্থ্য আর স্বাদের দারুণ মেলবন্ধন!