বিজ্ঞাপন
বিশাল আকার, চকচকে কালো রং আর প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালনের কারণে ব্যতিক্রমী এই ষাঁড়টি এখন শুধু এলাকায় নয়, সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার শীর্ষে।
ব্লাক ডায়মন্ডের বিশেষত্ব:
ওজন: প্রায় ১,৮০০ কেজি (৪৫ মণ)
দাম হাঁকানো হয়েছে: ১০ লাখ টাকা
বিশেষ অফার: এই গরু ক্রয়ে মিলবে আরও একটি ২ লাখ টাকার ষাঁড় উপহার!
গরুটির মালিক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গত পাঁচ বছর ধরে সন্তানের মতো যত্ন করে গরুটিকে লালন-পালন করেছেন। প্রতিদিন দেওয়া হয় ৫০-৬০ কেজি কাঁচা ঘাস, খড়, খৈল, ভূষি, ভুট্টা ও পায়রা। দিনে দু-তিনবার গোসল করানো হয়।
তিনি গর্ব করে বলেন, “কোনো ইনজেকশন বা কৃত্রিম ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি, পুরোপুরি প্রাকৃতিক খাবারেই বড় হয়েছে ব্লাক ডায়মন্ড।”
খামারির সাফল্য:
২০০৮ সালে বাবার মৃত্যুর পর ঢাকার চাকরি ছেড়ে খামার গড়ার স্বপ্নে বাড়ি ফিরে আসেন সাইফুল ইসলাম। ২০১১ সালে মাত্র ১ লাখ টাকা দিয়ে শুরু করা খামার এখন ৫০ লাখ টাকার সম্পদে পরিণত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ লাখ টাকার গরু বিক্রি করেছেন, আর বর্তমান খামারে রয়েছে আরও ১০টি ষাঁড়।
দর্শনার্থীদের ভিড়:
রাজাপুরের এই গরুটিকে এক নজর দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত মানুষ। কেউ মোবাইলে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবাই মুগ্ধ।
বিক্রি নিয়ে চিন্তিত সাইফুল:
“এত বড় গরু নিয়ে হাটে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ভালো ক্রেতার অপেক্ষায় আছি,”—বললেন তিনি। আগ্রহীরা যোগাযোগ করতে পারেন সরাসরি খামারির সঙ্গে
- মো. নাঈম হাসান ঈমন, প্রতিনিধি।