বিজ্ঞাপন
কোরবানির ঈদকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি ও বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
ঈদের জামাতের সময়সূচী :
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে,
(১) ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৭.৩০ টায়।
(২) ২য় জামাত অনুষ্ঠিত হবে থানাপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে সকাল ৮.০০ টায়।
(৩) ৩য় জামাত অনুষ্ঠিত হবে ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসা জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে সকাল ৮.৩০ টায়।
আবহাওয়া প্রতিকূলে (খারাপ) থাকলে,
(১) ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮.০০ টায় গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদ এবং কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া সকাল ৮.৩০ হতে ৯.০০ টায় অন্যান্য মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলায় মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে ঈদ পালন নিশ্চিত করতে জোর প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। ঈদের প্রধান জামাত সফলভাবে সম্পন্ন করতে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান ও আশপাশের এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে। একইসাথে হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে পেতে ঈদগাহে থাকবে বিশেষ অনুসন্ধান কেন্দ্র ও মাইকিং ব্যবস্থা।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঈদের আগের রাত থেকে ঈদের পরদিন রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ৩০ ঘণ্টা সকল সরকারি ভবন ও অফিসে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা থাকবে। এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে প্রদান করা হয়েছে।
ঈদের দিন যেন কেউ অবহেলিত না থাকেন, তা নিশ্চিত করতেও নেয়া হয়েছে উদ্যোগ। হাসপাতাল, সরকারি শিশু পরিবার এবং জেলা কারাগারে বিশেষ উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ, সমাজসেবা বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও রয়েছে কড়াকড়ি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঈদের সময় বিশেষ নজরদারির পাশাপাশি যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় জেলা পর্যায়ের কর্মসূচির সঙ্গে সংগতি রেখে নিজ নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে জেলা প্রশাসক, কোরবানির পরবর্তী সর্বোচ্চ ৬ ঘণ্টার মধ্যে পশুর বর্জ্য অপসারণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন । পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে সজাগ করা হয়েছে।
এই সুসমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জেলার নাগরিকরা নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।