ছবি: পশুর হাট
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার ধর্মপাশা উপজেলার বাজারে দেখা গেছে, দেশীয় গরুর আমদানি অনেক হলেও কাঙ্ক্ষিত বিক্রি হচ্ছে না। মান্নানঘাট বাজারে বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি গরু রাখা হলেও দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। তবে হাটে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে এবং ক্রেতারা গরু পছন্দ করে দাম নিয়ে আলোচনা করছেন। বিক্রেতারা জানান, ঈদের মাত্র দুই দিন বাকি থাকায় ক্রেতারা এখনও গরু কেনায় অনীহা দেখাচ্ছেন। তারা আশা করছেন ঈদের শেষ সময়ে বিক্রি বাড়বে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবের গরুর হাট ও জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শেষ মুহূর্তে জেলা সদর ও আশপাশের লোকজন আসায় দাম একটু বেশি হলেও পর্যাপ্ত গরু রয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কারেন্টের বাজারে গরুর দাম তুলনামূলক কম।
হাট ইজারাদার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে এবং গরুর প্রতি এক হাজার টাকা হাট ভাড়া নেয়া হচ্ছে। গরুর দাম ৪৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে রয়েছে। বিকালের দিকে বেচাকেনা বাড়ার আশায় আমরা রয়েছি।”
প্রাণিসম্পদ দপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সুনামগঞ্জ জেলায় এবারের কোরবানির চাহিদা ৪৩ হাজার ৪২৪টি এবং প্রস্তুত পশু ৫৪ হাজার ৮৫৪টি। এর মধ্যে রয়েছে ২৪ হাজার ৮২০টি ষাঁড়, ৪ হাজার ৩৫১টি বলদ, ৮ হাজার ১৬টি গাভি, ৩৮৭টি মহিষ, ১১ হাজার ৩৬৩টি ছাগল, ৫ হাজার ৫৭টি ভেড়া ও ৮৬০টি অন্যান্য পশু।
সিলেট বিভাগের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মারুফ হাসান জানান, সিলেটে এবার প্রায় ২ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে এবং মজুদ আছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৫১৫টি। তাই কোরবানির পশু সংকট দেখা দেবে না। তিনি বলেন, প্রতি বছর সিলেট অঞ্চলে প্রায় চার লাখ গরু কোরবানি হয়। এ বছরও প্রাচুর্যের আশ্বাস রয়েছে।
প্রতিবেদক-
খন্দকার শহীদুল ইসলাম