ব্রাহ্মণবাড়িয়া গরুর হাট। ছবি : মোঃ খোকন
বিজ্ঞাপন
শেষদিনে বৃষ্টির উপেক্ষা করে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে দর-কষাকষিতে জমে উঠেছে জেলার পশুর হাট বাজারগুলো।
প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার কোরবানির জন্য ১ লাখ ৩৫ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে গরু ৯৯ হাজার ৫৬৭টি, মহিষ ১২ হাজার ১৬৬টি, ছাগল-ভেড়া ২৩ হাজার ৯০২টি এবং অন্যান্য পশু ৭৪টি। বিপরীতে জেলার ১৪ হাজার ৭৯২টি খামারে ইতিমধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৫টি পশু মজুদ রয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় ৮০০টির বেশি উদ্বৃত্ত।
খামারিরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার পশুর উৎপাদন খরচ বেড়েছে, বিশেষ করে পশুখাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পশুর দামও বেশি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে পশুর দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মো. সাইফুদ্দিন খান শুভ্র বলেন, খামারিরা চাহিদা মেটাতে সক্ষম, কিন্তু কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কিছু অসাধু চক্র বিদেশি পশু আমদানির চেষ্টা করে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুল ইসলাম জানান, স্থানীয় চাহিদা পূরণে পর্যাপ্ত পশু রয়েছে। ভারত থেকে অবৈধ পশু প্রবেশ রোধে সীমান্তে কঠোর নজরদারি চলছে।এদিকে, ফার্ম প্রিন্সের মালিক মো. ফোরকান মিয়ার মতো খামারিরা অনলাইনে পশু বিক্রি করছে। হাটে ক্রেতাদের সংখ্যা শেষ দিনে বাড়তে শুরু করেছে।
জেলার সবচেয়ে পুরোনো ও বড় বাজার ভাদুঘর পশুর হাটে আসা ক্রেতা মাহফুজ বলেন, "দাম বেশি মনে হচ্ছে, ঈদের কাছাকাছি সময়ে দাম কমলে তখন কিনব।" অনেকেই তার মতো ঈদের আগের দিন দাম কমার আশায় অপেক্ষা করছেন, যা বিক্রেতাদের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ইতিমধ্যে শতাধিক পশুর হাট বসলেও বৃষ্টির কারণে ক্রেতা সংখ্যা এখনও কম। হাট ইজারাদার ও বিক্রেতারা উদ্বিগ্ন যে, যদি শেষ মুহূর্তে বর্ডার দিয়ে গরু আসে, তাহলে তাদের লোকসান গুনতে হতে পারে।