Logo Logo

ইউক্রেনের খারকিভে রাশিয়ার ব্যাপক হামলা


Splash Image

ছবি : সংগৃহীত।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। শনিবার (৭ জুন) ভোরে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর খারকিভে চালানো এক ভয়াবহ হামলায় কেঁপে উঠেছে গোটা শহর।


বিজ্ঞাপন


ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ একে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর শহরটিতে অন্যতম সবচেয়ে বড় হামলা হিসেবে বর্ণনা করেছে।

খারকিভের মেয়র ইগোর তেরেকোভ জানিয়েছেন, “মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৪০টিরও বেশি বার হামলা চালানো হয়। বিস্ফোরণের আওয়াজে শহরটি বারবার কেঁপে ওঠে।” তিনি আরও জানান, হামলায় অন্তত তিনজন নিহত এবং এক ডজনের বেশি আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো।

এই হামলার পেছনে প্রতিশোধের ইঙ্গিত স্পষ্ট। গত সপ্তাহে ইউক্রেনের এক অভিযানে রাশিয়ার অন্তত ৪০টি সামরিক বিমান ধ্বংস হয় বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর থেকেই ইউক্রেনে ধারাবাহিক প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে রাশিয়া।

শুক্রবার ও শনিবার মিলিয়ে রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় ড্রোন, মিসাইল এবং আকাশ থেকে ফেলা বোমা ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী।

এদিকে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, তারা আজ সকালে রাশিয়ার একটি এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। অভিযানটি চালানো হয় রাশিয়ার কুরস্ক সীমান্তসংলগ্ন অঞ্চলে। যদিও রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে এক যুদ্ধ-ব্লগার দাবি করেছেন, একটি এসইউ-৩৫ বিমান নিখোঁজ হয়েছে এবং পাইলটকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

৪০টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। এ হামলার পরপরই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। ট্রাম্প পরে এক বিবৃতিতে বলেন, “রাশিয়া খুব দ্রুত পাল্টা জবাব দেবে।”

খারকিভে চলমান আক্রমণের ফলে শহরজুড়ে আতঙ্ক ও উদ্বেগ বাড়ছে। সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন। আন্তর্জাতিক মহলে এই পরিস্থিতি নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...