Logo Logo
বিশ্ব

ভারতকে সমুচিত জবাব দিতে সশস্ত্র বাহিনীকে অনুমতি দিলো পাকিস্তান


ভোরের বাণী

Splash Image


বিজ্ঞাপন


ভারতের সাম্প্রতিক বিমান ও ড্রোন হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান এবার সামরিক জবাব দেওয়ার পূর্ণ অনুমতি দিয়েছে সশস্ত্র বাহিনীকে। বুধবার (৭ মে) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠক শেষে ইসলামাবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, “পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য যথাযথভাবে অনুমোদিত করা হয়েছে।”

জিও টিভির এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদনে জানানো হয়, জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি ভারতের সামরিক কর্মকাণ্ডকে “অপ্রীতিকর যুদ্ধপ্রবণতা” এবং “পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন” হিসেবে অভিহিত করেছে। বৈঠকে পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীর অঞ্চলে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান ও ড্রোন হামলার কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। কমিটির মতে, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চরম দৃষ্টান্ত, যার দায়ভার ভারতের ওপরই বর্তাবে।

পাকিস্তানি ভূখণ্ডে ভারতীয় হামলার পর সেনাবাহিনী যে দ্রুত ও কার্যকর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেছে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি। ইসলামাবাদের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী সফলভাবে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান এবং একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এসবের মধ্যে ছিল তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৫৭ মডেলের বিমান। এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতার প্রমাণ বলেই বিবেচিত হচ্ছে।

কমিটির বক্তব্য অনুযায়ী, ভারতের হামলা পরিকল্পিতভাবে বেসামরিক স্থাপনা—যেমন মসজিদ, আবাসিক ভবন এবং বাজার লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে, যাতে নারী, শিশু ও সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল এবং জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পাকিস্তান আত্মরক্ষার্থে বৈধ প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।

এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কূটনৈতিক পথে পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটিতে নিযুক্ত ভারতীয় চার্জ ডি’ অ্যাফেয়ার্সকে ডেকে এনে আনুষ্ঠানিকভাবে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ইসলামাবাদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখন ভারতের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসতে হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত দক্ষিণ এশিয়ায় একটি নতুন ভূরাজনৈতিক টানাপড়েনের সূচনা করতে পারে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ ধরনের সামরিক উত্তেজনা বিশ্বমঞ্চে গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠছে।

আরও পড়ুন

ত্রাণ মজুত, তবুও নেই সহায়তা : ঝড়-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন
ত্রাণ মজুত, তবুও নেই সহায়তা : ঝড়-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ব্যক্তি ও সমাজ, ঈদুল আজহায় এনসিপির শুভেচ্ছা বার্তা
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ব্যক্তি ও সমাজ, ঈদুল আজহায় এনসিপির শুভেচ্ছা বার্তা