ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
ভালো ফলন আর বাজারে মূল্য পাওয়ায় নীলফামারীর কৃষকদের মুখে এবার ফুটেছে স্বস্তির হাসি। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ভুট্টা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তা, উন্নত জাতের বীজ এবং সঠিক পরিচর্যার ফলে ফলন বেড়েছে, আর বাজারে ভালো দাম মিলায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
নীলফামারী সদরের রামনগর ইউনিয়নের চাষি জাহিনুর রহমান জানান, তিনি এ বছর তিন বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করে প্রতি বিঘায় ৩৫-৪০ মন ফলন পেয়েছেন। বাজারে প্রতি কেজি ভুট্টার দাম ২১ টাকা হওয়ায় তিনি বেশ লাভবান হয়েছেন। একই ইউনিয়নের আরেক কৃষক রনি ইসলাম জানান, তিনি ৪০-৪৫ মন ভুট্টা প্রতি বিঘায় পেয়েছেন। তার এই সাফল্য দেখে স্থানীয়রা অনুপ্রাণিত হয়ে উঠছেন ভুট্টা চাষে।
এদিকে ব্যবসায়ীরাও জানান, চলতি মৌসুমে ভুট্টা মজুদের ক্ষেত্রে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি, কারণ আবহাওয়া অনুকূল থাকায় শস্য শুকানো এবং সংরক্ষণের কাজ সহজ হয়েছে। জেলার ইটাখোলা, খোকশাবাড়ি, চড়াইখোলা ও শেখগ্রামসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে এখন ভুট্টা সরবরাহ এবং পাইকারি বিক্রি পুরোদমে চলছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক আহমেদ দৈনিক ভোরের বাণীকে জানান, চলতি বছর নীলফামারী সদরে ৪১০০ একর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা ছাড়িয়ে বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। তিনি বলেন, “ফলন এবং বাজার পরিস্থিতি দেখে আগামীতে ভুট্টা চাষ আরও বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী।”
ভুট্টা বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে। এটি পোলট্রি, মাছ ও গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। তাই স্থানীয় উৎপাদনের পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে এই শস্যের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে কৃষিতে নীলফামারীর অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।