ভোরের বাণী
ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার জেরে নতুন করে মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র—ভারত ও পাকিস্তান। সীমান্তে বাড়তে থাকা উত্তেজনায় দুই দেশই ইতিমধ্যে নিয়েছে একাধিক সামরিক পদক্ষেপ, যার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবিমান মোতায়েন, সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি।
এই উত্তেজনার মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে বিভ্রান্তিকর ও ভুয়া তথ্য। ‘হামলা-পাল্টা হামলা’ সম্পর্কিত অনেক পোস্টই ভিত্তিহীন বলে নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং সংস্থাগুলো। ভুয়া খবরের এই স্রোত নিয়ন্ত্রণে সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আহ্বান এখন সময়ের দাবি।
এই প্রেক্ষাপটেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) একটি বিবৃতি দিয়ে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন সদ্য টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি লিখেছেন:
“প্রতিটি মুহূর্তে, প্রতিটি সিদ্ধান্তে আমাদের ভারতীয় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর ওপর অত্যন্ত গর্ব অনুভব করি। আমাদের যোদ্ধারা দেশের গৌরব রক্ষায় দৃঢ়ভাবে অটুট রয়েছেন। প্রতিটি ভারতীয়ের দায়িত্বশীল হওয়া এবং কোনো ভুয়া খবর না ছড়ানো বা তাতে বিশ্বাস না করা অত্যন্ত জরুরি। সবাই নিরাপদ থাকুন!”
রোহিতের এই বার্তা ইতোমধ্যেই লাখোবার শেয়ার ও রিটুইট হয়েছে, এবং ভারতীয়দের মধ্যে ব্যাপক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
এদিকে, যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে চলতি আসরের আইপিএল। ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার একটি ম্যাচ চলাকালে স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট নিভে যাওয়ার পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে। পরে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এক জরুরি বৈঠকে বসে এবং টুর্নামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) সিদ্ধান্ত নিয়েছে—চলমান পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) দেশের অভ্যন্তর থেকে সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজন করবে বাকি ম্যাচগুলো। নিরাপত্তাজনিত কারণে এই পদক্ষেপ নিয়েছে বোর্ড।
এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই টি-টোয়েন্টি লিগের স্থগিত হওয়া বা স্থানান্তরের ঘটনায় ক্রিকেটপ্রেমীরা যেমন হতাশ, তেমনি উদ্বিগ্ন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এই সংঘাত যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে দক্ষিণ এশিয়ার ক্রীড়াঙ্গনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।