ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের এই সংঘাতকে গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমন এক পরিস্থিতিতে গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রুবিও পাকিস্তান ও ভারতকে চলমান উত্তেজনা প্রশমনের উপায় খুঁজে বের করতে আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতে এমন সংঘাত যেন না ঘটে, সেই লক্ষ্যে গঠনমূলক আলোচনা শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
তবে মার্কিন আহ্বান সত্ত্বেও, শনিবার ভোরে পাকিস্তান ভারতে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ। দেশটির সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা ভারতের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত একটি ক্ষেপণাস্ত্রঘাঁটি সহ একাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
এই সামরিক উত্তেজনার সূত্রপাত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে। ভারত প্রথমে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান পাল্টা হামলা শুরু করে। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাশ্মীরের পেহেলগামে একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলার জবাবেই তারা এই অভিযান চালিয়েছে।
বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত এলাকা ও নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং গোলাবারুদ ব্যবহার করে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত উভয়পক্ষের মিলিয়ে ৫০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে সেনাসদস্যরাও নিহত হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নিতে পারে। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ পরিস্থিতি শান্ত করতে কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে বর্তমান উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।