ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধ নয়, শান্তির দিকেই এগিয়ে যেতে চায়—এমন বার্তা দিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে ফোনালাপে তিনি জানিয়েছেন, ভারত যুদ্ধের পক্ষপাতী নয় এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এই বার্তাটি এমন সময়ে এসেছে, যখন কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পরিস্থিতি চরম উত্তেজনার দিকে গড়াচ্ছিল।
শনিবার (১০ মে) চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের পরিচালক ওয়াং ই ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপ হয়। পরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে তাদের কথোপকথনের বিষয়বস্তু তুলে ধরে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দোভাল জানিয়েছেন—পহেলগামের হামলায় ভারতীয় নাগরিকদের মৃত্যু ও গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। এই হামলার পর ভারতের পক্ষে কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধ আমাদের পছন্দ নয় এবং এটি কোনও পক্ষের জন্যই উপকারী নয়।”
ওয়াং ই তার জবাবে বলেন, চীন সব ধরনের সন্ত্রাসবাদকে ঘৃণা করে এবং পহেলগামে হামলার তীব্র নিন্দা জানায়। তিনি বলেন, “বিশ্ব আজ এক জটিল সংকটে রয়েছে, যেখানে এশিয়ায় শান্তি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই চীনের প্রতিবেশী এবং দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চীন আন্তরিকভাবে কামনা করে।”
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা আঞ্চলিক শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে। চীন মনে করে, শান্তিপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমেই দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারত ও চীনের এই সংলাপ আঞ্চলিক কূটনৈতিক উত্তেজনা প্রশমনে একটি ইতিবাচক বার্তা পাঠায়। বিশেষত, চীন যদি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখে, তবে এটি দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।