ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার পটভূমিতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী মুখ খুলেছে। রবিবার (১১ মে) রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ স্পষ্ট ভাষায় দাবি করেছেন, “পাকিস্তান নয়, বরং ভারতই যুদ্ধবিরতির জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।”
বিবিসির বরাতে পাওয়া খবরে জানা যায়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছে, তারা সীমান্তে যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি কঠোরভাবে মেনে চলছে। তবে ভারত তা লঙ্ঘন করলে তারা প্রতিক্রিয়া জানাতে পিছপা হবে না।
জেনারেল শরীফ বলেন, “আমরা নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তি বজায় রাখার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কোনো চুক্তি যদি লঙ্ঘন হয়, তাহলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তার যথোপযুক্ত জবাব দেবে।”
সাম্প্রতিক সংঘর্ষের মধ্যে এক ভারতীয় পাইলট পাকিস্তানের হেফাজতে রয়েছে—এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই প্রসঙ্গে তিনি পরিষ্কার করে বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, পাকিস্তানের হেফাজতে কোনো ভারতীয় পাইলট নেই।”
এদিনের ব্রিফিংয়ে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এয়ার ভাইস মার্শাল আওরঙ্গজেব আহমেদ দাবি করেন, চলমান সংঘর্ষে পাকিস্তান ভারতীয় বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি ও তথাকথিত ‘সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ ধ্বংস করেছে। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, আকাশযুদ্ধে পাকিস্তান ৬-০ ব্যবধানে জয়লাভ করেছে।
আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে তারা কেবলমাত্র তাদের ‘সামরিক শক্তির সামান্য ঝলক’ দেখিয়েছে। “পাকিস্তানের আধুনিক যুদ্ধক্ষমতা অনেক বিস্তৃত। যেটুকু আমরা দেখিয়েছি তা সামান্য মাত্র। বাকিটা ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত রয়েছে,” বলেন জেনারেল শরীফ।
তবে সংবাদ সম্মেলনের শেষাংশে তিনি সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের চিন্তাই নিছক এক ধরণের বোকামি হবে। আমরা সংঘাত নয়, শান্তি চাই।”