ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
বিটকয়েন প্রেমীদের জন্য দারুণ খবর! মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে ব্যাপক উত্থান দেখা গেছে। ৩১ জানুয়ারির পর প্রথমবারের মতো বিশ্ববাজারে শীর্ষ ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ৫ হাজার ডলার অতিক্রম করেছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।
বাইন্যান্স (Binance) প্ল্যাটফর্মের সাম্প্রতিক তথ্যানুযায়ী, ১২ মে ভোরের দিকে বিটকয়েনের মূল্য ০.৩৪% বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় $105,032-এ। বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন রাজনীতির অস্থিরতা ও ডলার ভিত্তিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিটকয়েনের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেছে।
এর আগে ট্রাম্পের জয় ঘোষণার পরপরই বাজারে বিটকয়েনের দর হঠাৎ লাফিয়ে বেড়ে যায়। নির্বাচনের আগে সর্বোচ্চ মূল্য ছিল $73,000, যা কিছুদিনের মধ্যেই বেড়ে $96,000 ছাড়িয়ে যায়। এরপর বিটকয়েন প্রথমবারের মতো $100,000-এর মাইলফলক অতিক্রম করে।
বিশ্লেষকদের ভাষ্যে, এটি শুধুমাত্র এক শুরু। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রিপ্টো বিশেষজ্ঞরা পূর্বেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, বিটকয়েন সহজেই $100,000 ছাড়িয়ে যাবে এবং সম্ভাব্যভাবে $300,000 পর্যন্ত মূল্য পেতে পারে।
বিটকয়েন কীভাবে কাজ করে?
বিটকয়েন হলো এক ধরনের বিকেন্দ্রীভূত ডিজিটাল মুদ্রা, যা ব্লকচেইন প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি কোনো রাষ্ট্রীয় ব্যাংক বা কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। একে বলা হয় ‘ডিজিটাল গোল্ড’। ২০০৮ সালে ‘সাতোশি নাকামোটো’ নামক এক ছদ্মনামের অধীনে প্রথম এই ধারণা উন্মোচিত হয় এবং ২০০৯ সালে চালু হয় বিটকয়েন নেটওয়ার্ক।
বাংলাদেশে ক্রিপ্টো বিনিয়োগ আইনগতভাবে স্বীকৃত নয়, তবে দেশীয় তরুণ সমাজ ও প্রবাসীরা নানা উপায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিটকয়েন কেনাবেচায় যুক্ত হচ্ছেন।
বিটকয়েনের এমন চমকপ্রদ উত্থান বিশ্বজুড়ে ডিজিটাল সম্পদে বিনিয়োগকারীদের মাঝে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এই বাজারে লাভ যেমন দ্রুত আসে, তেমনি বড় ঝুঁকিও লুকিয়ে থাকে।