ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কয়েকদিন ধরে চলা সামরিক উত্তেজনার পর অবশেষে শিথিলতার আভাস মিলেছে। সোমবার (১২ মে) ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (DGCA) ঘোষণা দিয়েছে, পাকিস্তান সীমান্তঘেঁষা ৩২টি বিমানবন্দর পুনরায় সাধারণ ফ্লাইট চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘ চার দিন ধরে চলা সংঘর্ষের জেরে গত সপ্তাহে এসব বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে গত শনিবার (১০ মে) দুই দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। যদিও পরবর্তী সময় একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে উভয় দেশ।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ভারত-শাসিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে শুরু করে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের ভূজ পর্যন্ত মোট ৩২টি বিমানবন্দর খুলে দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে সীমান্তবর্তী বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক এয়ারবেস, যেগুলো সংকটকালে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইন ইন্ডিগো জানিয়েছে, যুদ্ধজনিত কারণে বন্ধ থাকা তাদের রুটগুলো ধাপে ধাপে পুনরায় চালু করা হবে। সংস্থাটি আরও জানায়, যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সময়োপযোগী যাতায়াত নিশ্চিত করাই তাদের অগ্রাধিকার।
সীমান্ত পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে উভয় পক্ষ। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর তেমন কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।” একইসঙ্গে পাকিস্তানও জানায়, যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত কার্যকর রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিমানবন্দর পুনরায় চালু হওয়ার ঘটনা দুই দেশের মধ্যে নতুন করে কূটনৈতিক সমঝোতার ইঙ্গিত দিতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী শান্তির জন্য দুই পক্ষের রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আন্তর্জাতিক চাপের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
পূর্বপ্রসঙ্গ হিসেবে উল্লেখযোগ্য যে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এর আগে ২০১9 সালে কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনার সময়ও উভয় দেশ একাধিক বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়।
সামরিক উত্তেজনার আবহে বিমান চলাচলের এমন পুনরায় চালু হওয়া অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য স্বস্তির বার্তা বয়ে এনেছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের সংঘর্ষে বেসামরিক অবকাঠামোর ক্ষতি এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ এখন নিয়মিত চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।