ভোরের বাণী
ছবি. সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
বিভিন্ন হাদিসে এসব আমলের কথা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। চলুন জেনে নিই, কোন কাজগুলো করলে মুমিন ব্যক্তি নবীজির সান্নিধ্যে জান্নাতে থাকার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেন।
সিজদা বেশি করা
রাসুল (সা.)-এর সান্নিধ্য চেয়ে সাহাবি রাবিআহ (রা.) বলেছিলেন, আমি আপনার সঙ্গে জান্নাতে থাকতে চাই। উত্তরে নবীজি বলেন, বেশি বেশি সিজদা করে আমার সাহায্য করো। (মুসলিম)
এতিমদের দায়িত্ব নেওয়া
যে ব্যক্তি এতিম শিশুর লালন-পালন করে, সে জান্নাতে নবীজির একেবারে পাশে থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। (বুখারি)
কন্যাসন্তানের দেখভাল করা
দুই বা ততোধিক কন্যাসন্তানের দায়িত্ব নিয়ে যারা তাদের যত্ন করে, তারা জান্নাতে নবীজির খুব কাছাকাছি থাকবে। (তিরমিজি)
বোনদের লালন-পালন করা
কোনো ব্যক্তি যদি দুই বা তিন বোনের যত্ন নেয় যতদিন না তাদের বিয়ে হয়, তাহলে তার স্থানও নবীর (সা.) পাশে হবে। (ইবনে হিব্বান)
ভালো চরিত্র গঠন
উত্তম চরিত্রধারী ব্যক্তিই হবেন কিয়ামতের দিন নবীজির সবচেয়ে কাছের। তিনি তিনবার জিজ্ঞেস করে বলেছেন, যে ব্যক্তি চরিত্রে উত্তম, সে-ই আমার প্রিয় ও সঙ্গী হবে। (মুসনাদে আহমাদ)
নবীজিকে ভালোবাসা
এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করেছিল, কিয়ামত কবে হবে? উত্তরে রাসুল (সা.) বলেন, তুমি কী প্রস্তুতি নিয়েছ? সে বলল, কিছু না, শুধু আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে ভালোবাসি। রাসুল বলেন, তুমি তাদের সাথেই থাকবে যাদের ভালোবাসো। (মুসলিম)
দরুদ শরিফ বেশি পাঠ করা
যারা বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন তারা হবেন নবীজির সবচেয়ে কাছের মানুষ। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা)
এই আমলগুলো আমাদের জীবনের অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে আশা করা যায় যে, আমরা জান্নাতে প্রিয় নবীর পাশে স্থান পাব। আল্লাহ তাআলা আমাদের সেই সৌভাগ্য দান করুন।