Logo Logo

ফাতওয়া নং ৫

কুফরি বা শিরক করে ফেললে করণীয় কী? হতাশ না হয়ে জেনে নিন ইসলামের দিকনির্দেশনা


Splash Image

প্রশ্ন: আমি কিছুদিন আগে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন একটি কাজ করে ফেলেছি, যা কুফর বা শিরকের পর্যায়ে পড়ে। এখন আমার জানার বিষয় হলো—আল্লাহ কি আমার তাওবা কবুল করবেন? এখন আমার কী করণীয়?


বিজ্ঞাপন


ইসলামের জবাব:

যদি কেউ কোনো গুনাহ বা কুফরি কাজে লিপ্ত হয়, তাওবা করে খালেস মনে আল্লাহর দিকে ফিরে আসে—তাহলে আল্লাহ তাআলা তার গুনাহ ক্ষমা করে দেন। কোনো বড় গুনাহই আল্লাহর রহমত থেকে বড় নয়, যদি বান্দা সত্যিকারের অনুতপ্ত হয়।

আল কোরআন থেকে স্পষ্ট প্রমাণ:

সূরা আলে ইমরান ৮৬-৮৯:

“...তবে যারা তাওবা করবে ও নিজেদের সংশোধন করবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ গাফফার ও রহিম।”

সূরা নিসা ১৪৫-১৪৬:

“যারা তাওবা করে, নিজেকে সংশোধন করে ও দ্বীনকে খালেস করে ফেলে, তারা মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।”

সূরা তওবা ২০:৮২, সূরা আরাফ ৭:১৫৩, সূরা শূরা ৪২:২৫-২৬

প্রত্যেক আয়াতেই আল্লাহ তাওবা করা বান্দার জন্য ক্ষমার আশ্বাস দিয়েছেন।

সবচেয়ে সাহস জোগানো আয়াত – সূরা যুমার ৩৯:৫৩

"হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজের উপর সীমালঙ্ঘন করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করেন।"

রাসূল (ﷺ) এর বাণী (হাদীস):

"তাওবাকারী ব্যক্তি সেই ব্যক্তির মতো, যার কোনো গোনাহ নেই।"

(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস: ৪২৫০)

“তোমরা দিনরাত গুনাহ করো, আমি সব গুনাহ ক্ষমা করি। তোমরা ক্ষমা চাও, আমি ক্ষমা করে দেব।”

(সহীহ মুসলিম: ২৫৭৭)

আপনার করণীয় সংক্ষেপে:

খালেস মনে তাওবা করুন — আল্লাহর কাছে কাঁদুন, অনুতপ্ত হন।

কালিমায়ে শাহাদাত পুনরায় পাঠ করুন — ঈমান নবায়নের জন্য।

বিশ্বস্ত কোনো আলেমের সঙ্গে যোগাযোগ করুন — যদি আপনার গোনাহ কুফর/শিরকের পর্যায়ে পড়ে।

বিবাহিত হলে পুনরায় আকদ করাও লাগতে পারে — আলেমের পরামর্শ অনুযায়ী।

আগামীর জন্য প্রতিজ্ঞা করুন — আর কখনো এমন ভুল করবেন না।

বিঃদ্রঃ:

সূরা নিসা ৪৮ বলছে:

"আল্লাহ শিরক ছাড়া সব গোনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন, তবে শিরক তাওবা ছাড়া ক্ষমাযোগ্য নয়।"

-আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...