Logo Logo

চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় শিবিরের উপর যুবদল-ছাত্রদলের হামলা, গুলিবিদ্ধ ৩


Splash Image

চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানায় চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপর রাতের আঁধারে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।


বিজ্ঞাপন


এ ঘটনায় অন্তত ২২ জন শিবির কর্মী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২১ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের চকবাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের সূচনা হয়। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে দুইজন হলেন জাবেরুল ইসলাম ও আতিক, যাদের শিবির তাদের নিজস্ব কর্মী বলে দাবি করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ২টার দিকে চকবাজার থানার গুলজার মোড়ে ছাত্রশিবির নেতারা জড়ো হলে, অপরদিকে কাঁচাবাজার মোড়ে বহিষ্কৃত যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশাহর নেতৃত্বে বিএনপির কর্মীরা অবস্থান নেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

ছাত্রশিবির নেতাদের দাবি, সম্প্রতি মহসিন কলেজের শিক্ষার্থী ও শিবির নেতা আরিফসহ কয়েকজন যুবদল অনুসারীদের চাঁদাবাজি করার সময় পুলিশে সোপর্দ করলে, বাদশাহর অনুসারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে আরিফকে একা পেয়ে ‘ছাত্রলীগ’ বলে থানায় নিয়ে যায়। পরে থানায় গিয়ে আরিফকে ছাড়াতে গেলে যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে শিবিরের উপর হামলা চালায়।

অন্যদিকে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে, আর শিবির নেতারা তাকে ছাড়াতে থানায় গিয়েছিল।

এ বিষয়ে চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জাহিদুল কবির জানান, “ছাত্রদল এক ছাত্রকে ছাত্রলীগ সদস্য বলে থানায় হস্তান্তর করে। শিবির ওই ছাত্রকে তাদের কর্মী দাবি করে থানায় আসে। এ নিয়েই মূলত উত্তেজনার সূত্রপাত। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।”

ঘটনাস্থলে থানা পুলিশসহ অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে থানা এলাকায় অতিরিক্ত নজরদারি জারি রয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শিবিরের প্রচার সম্পাদক সিরাজী মানিক দাবি করেন, “চকবাজারে ছাত্রদল-যুবদলের নেতৃত্বে মহসিন কলেজ ও চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে।”

শিবিরের নগর উত্তর শাখার সভাপতি তানজির হোসেন জুয়েল বলেন, “আমাদের কর্মী আরিফুল ইসলামকে থানায় নিয়ে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রদল। আমরা তাকে ছাড়াতে গেলে বহিষ্কৃত নেতা বাদশাহর নেতৃত্বে হামলা হয়।”

অপরদিকে নগর ছাত্রদলের সভাপতি সাইফুল আলম জানিয়েছেন, তিনি এ বিষয়ে এখনো মন্তব্য করতে পারছেন না, কারণ তিনি থানায় বৈঠকে আছেন।

এই ঘটনায় চট্টগ্রামের ছাত্র রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...