ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “এই সরকারের ত্রুটি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে এই দুর্বলতাকে বড় করে না দেখে তাদের সদিচ্ছাকে বড় করে দেখা উচিত। নির্বাচন নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি দেখছি না।”
তিনি জানান, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সর্বদা দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি স্থায়ী সরকার গঠনের পক্ষে অবস্থান নেয়। “রাজনৈতিক সরকার না থাকলে দেশের সমস্যা বাড়তে থাকে,”— বলেন তিনি।
সম্প্রতি উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনার পর সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার অভাবে ঘাটতি ছিল। এই সরকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তাদের অভিজ্ঞতার অভাব। কিছু মানুষের ইগোও কাজ করে। রাজনৈতিক দলগুলোর, বিশেষ করে যারা আগে সরকারে ছিল, তাদের অভিজ্ঞতা আছে। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করলে ভালো হতো।”
তবে এসব সীমাবদ্ধতার মাঝেও সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। “আমরা কোনো ঘাটতি দেখছি না,”— বলেন মির্জা ফখরুল।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলমান বাকবিতণ্ডা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এগুলো রাজনীতির অংশ। প্রতিপক্ষকে কথায় ঘায়েল করার চেষ্টা থাকবেই। এতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। রাজনীতি থাকলেই দেশের উন্নতি হয়।”
গণতন্ত্রের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “গণতন্ত্রে সবাইকে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। তবেই ভালো সমাধান আসবে। গণতন্ত্রে অনেক ক্ষেত্রে শতফুল ফুটতে দিতে হবে। গণতন্ত্র মানেই সকলকে কথা বলতে দিতে হবে, শুনতে হবে। এটা হলেই শতফুল ফুটবে। তার মধ্যে থেকে ভালো সৌরভ-সুবাতাস বয়ে আসবে।”
এক ব্যক্তির দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীত্ব একসঙ্গে না রাখার প্রস্তাব বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটি একটি প্রস্তাব মাত্র। আলোচনা চলছে। সব দলের মতামত নেওয়া হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।”
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...