সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক, ছবি- সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।
এবিএম খায়রুল হক দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শপথ নেন এবং ২০১১ সালের ১৭ মে অবসরে যান। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ১৩ আগস্ট তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে তিনি গণমাধ্যম কিংবা জনসমক্ষে আর দেখা দেননি।
খায়রুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। তার বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট ইমরুল হাসান একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, তিনি সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় ‘পরিবর্তন ও জালিয়াতির’ মাধ্যমে দিয়েছেন। সেইসঙ্গে আইন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর অপব্যবহার এবং ক্ষমতার বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূরণ করেছেন বলেও দাবি করা হয়।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে খায়রুল হককে "দেশের বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর" আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায়। তাদের মতে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক না বলে রায় দেওয়া, বিতর্কিত বিচারপতিদের শপথ পড়ানো, আগাম জামিনের অধিকার কেড়ে নেওয়া এবং খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে উচ্ছেদে তিনি সরাসরি ভূমিকা রেখেছেন।
খায়রুল হকের বিচারিক কর্মকাণ্ড বহুদিন ধরেই রাজনৈতিক ও আইনি মহলে বিতর্কের জন্ম দিয়ে আসছিল। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে তার ভূমিকা এবং সিদ্ধান্তগুলো আদালতের নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে। অনেকে মনে করেন, বিচার বিভাগে দলীয় প্রভাব বিস্তারের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন তিনি।
-এমকে
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...